• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হংকং

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ জুন ২০১৯, ১৫:০৮
হংকংয়ে বিক্ষোভ
হংকংয়ে ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভরত জনগণ। (ছবিসূত্র : এবিসি নিউজ)

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে আসামি প্রত্যর্পণ বা বহিসমর্পণ বিষয়ক বিল সাময়িক স্থগিতের পর লাখো জনতার সামনে ক্ষমা চাইলেন হংকংয়ের চীনপন্থি শাসক ক্যারি ল্যাম। কিন্তু এতেও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনো ইঙ্গিত নেই! শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রপন্থি নেতা জোশুয়া ওংকে মুক্তি দেওয়ার পরও আন্দোলন না থামিয়ে দেশটির প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবি সড়কেই থেকে যান বিক্ষুব্ধ জনতা।

গত সোমবারের (১৭ জুন) মতো পরদিন মঙ্গলবারও সড়কে নামে প্রায় ২০ লক্ষাধিক বিক্ষোভকারী। এমন পরিস্থিতিতে চীনের অন্তর্গত স্বশাসিত ভূখণ্ডে গণতন্ত্রপন্থিদের চলমান এই বিক্ষোভের ফলে ল্যামকে তার গদি ছাড়তেও হতে পারে বলে ধারণা করছেন দেশটির রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। যে কারণে প্রতিবাদীদের এই ক্ষোভ প্রশমনের বিভিন্ন দিক খোঁজায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে হংকং সরকার।

যার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে কারাবন্দি গণতন্ত্রপন্থি নেতা জোশুয়া ওংকে মুক্তি দিয়েছে প্রশাসন। দীর্ঘদিন যাবত একদলীয় চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির হংকংয়ে প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন জোশুয়া। যে কারণে প্রায় মাস দেড়েক আগে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

হংকংয়ে বিক্ষোভ

হংকংয়ের চীনপন্থি শাসক ক্যারি ল্যাম। (ছবিসূত্র : লস এঞ্জেলেস টাইমস)

গত সোমবার জেল থেকে মুক্তি পেয়েই আন্দোলনকারীদের দলে যোগ দেন গণতন্ত্রপন্থি এই নেতা। পরে তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, 'জনগণের মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। হংকংবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের জন্য বর্তমানে পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ল্যাম। যে কারণে এবার তাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।'

প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে হংকংয়ের আন্দোলনরত জনগণের আশঙ্কা, বেইজিংপন্থি এই শাসকের প্রস্তাবিত বিলে সন্দেহভাজন অপরাধীকে চীন এবং তাইওয়ানে ফেরত পাঠানোর পথ সুগম করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে দেশের আইনকে দুর্বল এবং মানবাধিকার হরণ হবে। তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপ আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই দেশের স্বার্থে বিলটি পুরোপুরি বাতিল করাই সরকারের জন্য উত্তম।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা চীনের উইঘুর মুসলিম এবং অধিকৃত তিব্বতে বৌদ্ধ নিগ্রহের উদাহরণও তুলে ধরে বলেন, 'চীন এবার আমাদের সঙ্গে এমন করার চেষ্টা করছে। যা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।'

হংকংয়ে বিক্ষোভ

হংকংয়ে কারাবন্দি থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া গণতন্ত্রপন্থি নেতা জোশুয়া ওং। (ছবিসূত্র : জাপান টাইমস)

যদিও এতদিন দেশটির প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি ল্যাম দাবি করেছিলেন, দেশের স্বার্থে আইনটির প্রয়োজন রয়েছে। কেননা এতে মানবাধিকারের রক্ষাকবচগুলো যুক্ত করা হয়েছে। তার মতে, প্রস্তাবিত এই আইনটি কখনোই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে তোলা হয়নি। মূলত বিবেকের তাড়নায় এবং হংকংয়ের প্রতি অঙ্গীকার থেকেই তিনি প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে নিজের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হন চীন সমর্থিত এই শাসক।

আরও পড়ুন :- হংকংয়ে বিক্ষোভ : ক্ষমা চাইলেন চীনপন্থি শাসক

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ অনুযায়ী হংকং চীনের মূল ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত হলেও; সেখানকার বাসিন্দাদের স্বশাসনের ব্যাপারে পুরোপুরি অধিকার রয়েছে। প্রত্যর্পণ-বিরোধী আন্দোলনের ফলে চীন-হংকং সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলেও ধারণা করছেন আন্দোলনকারীদের অনেকে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড