আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া যেসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে তাতে মার্কিন নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাব লঙ্ঘন হয়েছে। যে কারণে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে অবিলম্বে আলোচনায় ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।
শনিবার (২৫ মে) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জন বোল্টন বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি জাতিসংঘ একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। এবার প্রেসিডেন্ট কিম তাও লঙ্ঘন করেছেন। তাছাড়া পরমাণু নিস্ক্রিয়করণের অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে এসব ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে আহ্বান জানিয়েছিল এতে সেটিও লঙ্ঘন হয়েছে।’
এ দিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তরের নেতা কিম জং উন অপরীক্ষিত এসব মিসাইলের একটি চালান সংরক্ষণ করেছিলেন। যেখানে অপেক্ষাকৃত ছোট এবং দ্রুত গতির ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত রাখা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, আকারে ছোট হলেও এটির ব্যবহার অন্যগুলোর চাইতে অনেকটাই সহজতর।
বোল্টন বলেছিলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য উত্তর কোরিয়া দরজা সবসময়ই খোলা। তবে চলতি বছরের শুরুতে ভিয়েতনামে আয়োজিত ট্রাম্প-কিম মধ্যকার শেষ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই হতাশ হয়েছে।’
যদিও বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘কিমের জন্য এই আলোচনা দরজা সবসময়ই খোলা আছে। কিন্তু পরবর্তী পদক্ষেপটি অবশ্যই কিমকে নিতে হবে।’
শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন এই নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিন জো অ্যাবের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তার মতে, জাপানি প্রধানমন্ত্রী কেবল উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচিতে সংলাপ পুনঃসূচনা করতে সহায়তা করতে পারেন। বোল্টন বলেন, ‘অ্যাবে এবং কিম মধ্যকার শীর্ষ সম্মেলনেই এর বাস্তব সমাধান করতে পারে।’
এ দিকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে জাপান সফরে থাকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিন জো অ্যাবের সঙ্গে গল্ফ খেলবেন। পরবর্তীতে তাদের একটি সুমো কুস্তির অনুষ্ঠানেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী সোমবার এই দুই নেতার মধ্যে একটি শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে তারা উত্তর কোরিয়া এবং চীন মধ্যকার চলমান সঙ্কট নিরসনসহ দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে আলোচনা করতে পারেন। তাছাড়া এই দুই নেতা ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন বোল্টন।
এর আগে গত শুক্রবার (২৪ মে) জাপানি গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছিল, আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে অ্যাবে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরান সফরে যাবেন। আর এটি হবে গত চার দশকের মধ্যে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর ইরানে প্রথম সফর।
আরও পড়ুন :- মধ্যপ্রাচ্যে আরও দেড় হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
যদিও ওয়াশিংটনের দাবি, জাপানি প্রধানমন্ত্রীর এই ইরান সফরে দেশটির তেল বিক্রিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড কর্পসের বিষয়ে আলোচনা হবে।
সূত্র : 'রয়টার্স'
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড