• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কিউই থেকে লংকা, কেবল মানুষই মরেছে

হামলাকারীর ৯ জনের একজন নারী, রয়েছে যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিগ্রিধারীও

  এস এম সোহাগ

২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৪২
শ্রীলঙ্কা হামলা
মানুষ মারার এই সংস্কৃতিতে কতদিন ধরে স্বজন হারাতে হবে তা অনিশ্চিত, পাশবিকতা দূর হয়ে মানবতা স্থান করে নিক মানবমনে। ছবি : সংগৃহীত

প্রথাপের তরুণ এক পরিবার, পরিবারের মধ্যে তার স্ত্রী আনিস্তি ন্যাপোলিওন এবং তার ৭ বছরের মেয়ে আন্দ্রিনা এবং ১ বছর বয়সী আব্রিনা। এটাই ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ইস্টার সানডের আগের জগত। পরিবারটি সচারাচর সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় যেতেন না, ইস্টার সানডে উপলক্ষে হাজার হাজার ধর্মানুরাগীদের সঙ্গে সে দিন তারাও গির্জায় যান প্রার্থনা করতে। দুর্ভাগ্যও তাদের সঙ্গেই ছিল, আত্মঘাতী হামলাকারীও তাদের পাশাপাশি গির্জায় উপস্থিত ছিল। আচমকা বিকট শব্দে এশিয়ার ছোট্ট দেশটির ক্ষুদ্র এক পরিবার বিভক্ত হয়ে গেল নিমিষেই।

বিস্ফোরণের পরে স্বজনরা প্রথাপের পরিবারকে খুঁজতে হন্য হয়ে স্থানীয় হাসপাতাল, মর্গ এবং শেষমেশ গির্জায় উপস্থিত হলো। সেখানেই নিষ্পাপ দুই কন্যাসহ পরিবারের খণ্ডিত মৃতদেহের সন্ধান পায় প্রিয় স্বজনেরা। এই পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক মুসলিম বন্ধু ফজল হানিফা নিষ্ঠুর এই হামলার নিন্দা জানিয়ে 'সিএনএন'কে বলে, 'তারা (হামলাকারীরা) মানুষ না, তারা পশু।'

বিদ্বেষ, সংঘাত, হিংস্রতা মানুষকে বারবার বিবর্তনের আদিম অতীতে নিয়ে যায়, পাশবিকতা মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য, মানবতা শুরুটা বর্বরতা একটা রুপান্তরিত রূপ। নিজের জীবন দিয়ে আরও শত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়ার মধ্যে ধর্মীয় মাহাত্ম্যের যে অজুহাত দেয়া হয়, তা ভিত্তিহীন। মানুষের পাশবিক বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির মানুষ মৃত্যুর বাণিজ্য করে, মানুষের পরিকল্পনায়, মানুষের দ্বারা মানুষকে হত্যা করা। এর বাহিরে ইসলামিক জঙ্গি, খ্রিস্টান উগ্র, আফ্রিকান মৌলবাদের মতো আস্তরণে ঢেকে দেয়া হয়।

ছবি : সংগৃহীত

মাত্র এক দশক আগে গৃহযুদ্ধ থেকে উঠে আসা দেশটিকে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। যে বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ৫ শতাধিক আহত হয়েছে। যার মধ্যে অনেক বিদেশি নাগরিক রয়েছে, রয়েছে মুসলিম, বৌদ্ধ, হিন্দুসহ নানা জাতির, নানা ধর্মের মানুষ।

ক্রাইস্টচার্চ থেকে কলম্বো

বিশ্বে শান্ত দেশ হিসেবে সমাধিক পরিচিত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নিতে শ্রীলঙ্কায় হামলা চালানো হয়েছিল বলে শ্রীলঙ্কান সরকার দাবি করছে। কলম্বোস্থ একজন সিনিয়র মুসলিম নেতা সরকারের দাবিটি বাতিল করে দিয়েছেন। একটা গণহত্যার প্রতিশোধ আরেক গণহত্যা করে নেয়ার তত্ত্বের মতো পাশবিক কারণ থাকতে পারে না। ধর্মের অজুহাত দিয়ে দুটোতেই নিরীহ মানুষের প্রাণ নিচ্ছে কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ।

এ দিকে, দুটি হামলার মধ্যকার স্বল্প সময়ের দিকে নির্দেশ করে শ্রীলঙ্কার মুসলিম কাউন্সিলের সহসভাপতি হিলি আহমেদ বলেন, এত অল্প সময়ে শ্রীলঙ্কায় এই বোমা হামলার পরিকল্পনা করা অসম্ভব। এটা বহুদিনের একটা পরিকল্পনা যাতে বহিরাগত শক্তির প্রভাব রয়েছে।

একদিকে শ্রীলঙ্কা অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড, উভয় স্থানে মানুষই মরেছে, প্রিয়জন হারানোর শোকের মধ্যে নেই কোনো ধর্মভিত্তিক ব্যবধান। ছবি : সংগৃহীত

আইএসআইএস শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করলেও নিউজিল্যান্ডের প্রতিশোধ নিয়েছে এমন কোনো বিষয় উল্লেখ করেনি। আহমেদ বলেন, 'নিউজিল্যান্ডে হামলার সঙ্গে একে যুক্ত করা একেবারেই মূর্খতা। বিশ্বে মুসলমানরা যেসব ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে সেই সংকটের মাত্রা তুলে ধরেছে নিউজিল্যান্ড হামলা। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ইসলামফোবিয়ার দিকে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এটি একদিক থেকে 'আশীর্বাদ' ছিল।

সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সংযোগ নির্মাণের জন্য তিনি বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্নার্ডকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, 'নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের জন্য আমরা নোবেল পুরস্কার কমিটিতে চিঠি পাঠিয়েছি। তিনি অবশ্যই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।'

ভারতের সতর্কতা

শ্রীলঙ্কার ইস্টার রবিবার বোমা হামলার আগে শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে ভারত তিনটি নির্দিষ্ট সতর্কতা বার্তা দিয়েছিল। বিস্ফোরণ শুরু হওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা আগে চূড়ান্ত সতর্কতা জানানো হয়েছিল, এই সতর্কতার ব্যাপারে জ্ঞাত একজন ব্যক্তি 'সিএনএন'কে বলেছেন।

এপ্রিলের ৪ তারিখে প্রথম সতর্কবার্তা জানানো হয়েছিল, দ্বিতীয় সতর্কবার্তাটি হামলার একদিন আগে অর্থাৎ ২০ এপ্রিল পাঠানো হয়েছিল এবং চূড়ান্ত সতর্কবার্তা হামলার দিন সকালে সকালে পাঠানো হয়। জ্ঞাত ঐ ব্যাক্তি জানান, সতর্কবাণীতে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছিল যে, গির্জা এবং হোটেল হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। ইস্টার সানডের হামলার আগে শ্রীলঙ্কান কর্মকর্তারা সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উভয়ই বলেছেন যে, তারা তথ্যটি পাননি।

শেখ উসমান ওয়ালিয়াউল্লাহ মসজিদের চেয়ারম্যান রেয়াইজ সালি। ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার শেখ উসমান ওয়ালিয়াউল্লাহ মসজিদের চেয়ারম্যান রেয়াইজ সালি 'সিএনএন'কে বলেছেন যে, তিনি বারবার শ্রীলঙ্কায় মৌলবাদী প্রচারকদের সম্পর্কে সরকারকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন। সহিংস এই হামলার প্রধান অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড জাহরান হাশিমও অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, 'তারা সুফি মসজিদ এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে হামলা চালানো শুরু করেন।'

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সালি পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ভিডিও পাঠিয়েছিলেন যা হাশিমের তৈরি, যাকে সালি জিহাদী প্রচারণা মনে করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বানও জানান। মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে। তিনি (হাশিম) জিহাদ সম্পর্কে কথা বলছিলেন। যা এই দেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা। কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করত তাহলে এই দুর্ঘটনা হয়তো প্রতিরোধ করা যেত।'

শ্রীলঙ্কায় ফের আঘাত হানার পরিকল্পনা

শ্রীলঙ্কায় একটি উচ্চ স্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা 'সিএনএন'কে বলেছেন যে, জাতীয় তৌহিদ জামাত (এনটিজে) শ্রীলঙ্কা জুড়ে দ্বিতীয়বার হামলার ধাক্কার পরিকল্পনা করছে। এনটিজে শ্রীলঙ্কান সরকার কর্তৃক অপরাধী হিসেবে নামকরণ করেছে। কিন্তু, এটি হামলার দায় স্বীকার করেনি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান উইজেওয়ারদেন। ছবি : সংগৃহীত

আইএসআইএস-অনুমোদিত সংবাদ সংস্থা আমাক কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসী গ্রুপটি বলেছে, ইস্টার সানডের হামলাগুলি 'আইএস যোদ্ধাদের' দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল, কিন্তু হামলার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। রবিবারের বিস্ফোরণের পর এই তথ্যটি গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়েছিল বলে কর্মকর্তারা জানান।

ইস্টার সানডে বিস্ফোরণ ঘটানো হামলাকারীরা আগেও আটক হয়েছিল বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান উইজেওয়ারদেন এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, 'তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতোমধ্যে কিছু হামলার ফলে জেলে ছিল, তবে তা তেমন বড় কোনো ঘটনা না।

হামলাকারীরা ছিল সংরক্ষিত

কলম্বোতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো এক প্রতিবেশী পামুধিতা অঞ্জন জানায়, 'তদন্তের আওতাধীন বাসাটিতে যারা থাকত তারা 'খুবই চাপা স্বভাবের' ছিল এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলত না। তারা খুবই সংরক্ষিত ছিল। তারা বাহিরে এসে খেলত না, এমনকি কারও সঙ্গে বের হয়ে কোনো যোগাযোগও করত না।'

'এই সম্প্রদায়ের আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকি, সবাই। আমরা এখানের সবাই রাতের বেলা একসঙ্গে রাস্তায় খাওয়া দাওয়া করি, কে কী করছি এসব নিয়ে কথাবার্তা বলি। এসবই করি, আমাদের মধ্যে সবাই এতটা মিলেমিশে থাকত। কিন্ত, তারা কখনো ঘর থেকে বাহিরে বের হতো না। তারা নিজেদের নিজেদের মধ্যে বন্দি করে রাখত।'

ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) বুধবার (২৪ এপ্রিল) জানায় যে, এক নারীসহ মোট ৯ জন আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা হামলা ঘটায়। নয়জনের মধ্যে ৮ জনকে পুলিশ চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়, বাকি আরেকজন এক হামলাকারীর স্ত্রী।

ইস্টার সানডের হামলাগুলোতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ জনকে এখন সিআইডির আওতায় রাখা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ জানায় আটককৃত সবাই শ্রীলঙ্কান নাগরিক।

আত্মঘাতীরা ছিল স্বচ্ছল পরিবারের উচ্চ-শিক্ষিত সদস্য

সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানায় যে, 'হামলাকারীরা অধিকাংশই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসা। তারা অনেকেই উচ্চশিক্ষিত, যার ভেতর একজন বিদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিও গ্রহণ করা। সুতরাং তারা অধিকাংশই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এবং পারিবারিকভাবে বেশ স্থির।'

তিনি আরও বলেন, 'হামলাকারীদের মধ্যে একজন যুক্তরাজ্য থেকে স্নাতক ডিগ্রি গ্রহণ করে পরে অস্ট্রেলিয়া থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করে শ্রীলঙ্কায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে।'

মানুষের মধ্যের পাশবিকতাকে পুঁজি করে একদল মানুষ বারবার এমন নৃসংশ ঘটনা ঘটাচ্ছে। ধর্মের অজুহাত দিয়ে একের পর এক মারা হচ্ছে মানুষকে। এখনও যদি বিশ্ব নেতারা এই হামলার গভীরতা আঁচ করে যথাযথ ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে ধর্মের সঙ্গে সঙ্গে ধর্ম পালন করা মানুষও হারিয়ে যাবে।

ছবি : সংগৃহীত

ইসলামোফোবিয়া, শেতাঙ্গ উগ্রতা, বুদ্ধিস্ট আগ্রাসণ কিংবা শিব-সেনা। ধর্ম-জাতি-বর্ণ-ভাষাকে পুঁজি করে মানুষ মারার এই বাণিজ্য বন্ধে ধর্মের আগে মানুষকে মানবতার শিক্ষা দেয়ার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে, কোথাও কোনো হামলা হলে তা ইসলামিক গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত হয়েছে ; এমন মনোভাবকে আগে দূর করতে হবে। যারা মানুষ মারে তারা কোনো ধর্মের হতে পারে না, ইসলাম কাউকে হত্যার অনুমতি দেয় না। জিহাদের নামে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা যেন নির্বিচারে পাখি শিকারের সদৃশ। ইসলামকে পণ্যায়িত করার একটা সীমা আছে, সেই সীমা অতিক্রমের পরেও এমন সব দুর্ঘটনায় ক্রাইস্টচার্চকে সম্পৃক্ততা করা অত্যন্ত দুঃখজনক।

আরও পড়ুন : পশ্চিমাদের 'ইসলামোফোবিয়া', শান্তির ধর্মকে সন্ত্রাসে রূপান্তরের আদ্যোপান্ত

অন্য ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল না হতে পারার মাধ্যমে ইসলামকে ত্যাগ করা হয়, ইসলামের অনুভূতিকে পুঁজি করে কিছু বিপজ্জনক মানুষকে আরও নিষ্ঠুর পশুতে পরিণত করার পেছনে ঘৃণ্য কিছু উদ্দেশ্য থাকে, যা অলক্ষ্যেই থেকে যায়, বিকে যায় ইসলামোফোবিয়া। ইস্টার সানডে হামলায় কিছু নিরপরাধ মুসলিম শিশুও মারা গিয়েছে, যারা ইসলামের শত্রু হতে পারে না। তাদের হত্যার পরেও হামলাকারীদের সঙ্গে ইসলামোফোবিয়াকে যুক্ত করা এক ঘৃণাত্মক সমাজের ইঙ্গিত দেয়, মানুষ হত্যার জন্য ধর্ম-জাতির উর্ধ্বে উঠে এসব হামলাকারী সৃষ্টির পেছনের মাস্টারমাইন্ডকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় না আনতে পারলে ফের কোথাও ঘটবে এই ভয়াবহতা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড