আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের পৃথক মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের মধ্যে একজনের মা সন্তানকে দাফনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছেন। পরিবারের দাবি, বন্দুক হামলায় নিহত সন্তানের শোকেই তার মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য স্টাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (২৩ মার্চ) স্থানীয় সময় সকালে ৬৫ বছর বয়সী সুদ অ্যাডওয়ান নামে এই জর্ডানের নাগরিক ক্রাইস্টচার্চের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত একটি বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে ১৫ই মার্চ ডিনস এভিনিউর আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় কামেল দারভিশ নামে তার ৩৮ বছর বয়সী সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল।
পরে গত শুক্রবার (২২ মার্চ) লিনউডের মেমোরিয়াল পার্ক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে নিহতের মা অ্যাডওয়ান ও তার স্ত্রী রানা এবং তিনটি ছোট সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পুত্র হারানোর শোক নিয়ে সেদিন রাতে তিনি বিছানায় ঘুমাতে যান। এরপর শনিবার সকালে পরিবারের অন্য সদস্যরা ৬৫ বছর বয়সী এই নারীকে সেখানেই মৃত অবস্থাতে দেখতে পান।
ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। (ছবিসূত্র : রয়টার্স)
অ্যাডওয়ানের ৩৩ বছর বয়সী ভাতিজা হানি আল-দাহের বলেন, ‘আজ সকালে আমরা তাকে বিছানাতে মৃত অবস্থাতে পাই। আমরা মনে করি, তার এই মৃত্যুর মূল কারণটা হলো হতাশা। মূলত সদ্য পুত্র হারানোর শোক কাটাতে না পাড়ার জন্যই এই মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অল্প দিনের মধ্যে আমরা আমাদের পরিবারের দুই সদস্যকে হারালাম। এটা ভীষণ দুঃখজনক একটা বিষয়। আমি বিশ্বাস করি সেই বন্দুকধারী এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।’
আরও পড়ুন :- উত্তর কোরিয়া থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
এর আগে প্রায় ছয় মাস আগে ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহত কামেল দারভিশ জর্ডান থেকে নিউজিল্যান্ডে আসেন। আর সেখানে তিনি আশবার্টনের একটি দুগ্ধ খামারে কাজ নেন। যদিও তার মা অ্যাডওয়ান জর্ডানেই থাকতেন। সম্প্রতি তিনি তার পুত্র হারানোর খবর পেয়ে নিউজিল্যান্ডে এসেছিলেন।
অডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড