আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে দেড়শ। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় প্রাণঘাতী ভাইরাসের ভয়াল থাবায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ল। যদিও গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হওয়া লোকজনের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা কমেছে, সঙ্গে আরও বাড়ল সুস্থতার হার।
এদিন ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৭০ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ল প্রায় তিন হাজার ৪০০ জন। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমিতের মোট সংখ্যা তিন কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
অপর দিকে বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল এক দিনে দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৩১ জন। অর্থাৎ নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে ১৪৭ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ৯২৮ জন।
এ দিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবারও ভারতে বজায় রয়েছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হওয়া লোকজনের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে বৃহস্পতিবার দেশটিতে সংক্রমণ বাড়লেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘পুরুষের সঙ্গে নারীদের কাজ করা উচিৎ নয়’
গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৮ হাজার ৩০৩ জন মানুষ। অপর দিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে তিন লাখ ৪২ হাজার ৯২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের মোট সংক্রমিত রোগীর ১ দশমিক ০৩ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী। যদিও বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার এই হার কমেছে। এ দিকে ভারতে সুস্থতার হারও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
অন্য দিকে ভারতে বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গেল এক দিনে দেশটিতে দৈনিক শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশে পৌঁছেছে। গত ১৭ দিন যাবত দেশটিতে এই হার তিন শতাংশের নিচেই রয়েছে।
আরও পড়ুন : চীনে ভূমিকম্পের আঘাতে নিহত ৩
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড