ভারতে করোনার সংক্রমণ কমলেও বেড়েছে মৃত্যু

মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় সংক্রমিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আগের দিনের তুলনায় কমেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা। এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে রোগটিতে শনাক্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমল, সঙ্গে বেড়েছে সুস্থতার হারও।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় ঘনবসতিপূর্ণ দেশটিতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার ২২২ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় ভারতে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে সাড়ে সাত হাজারের বেশি। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা তিন কোটি ৩০ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৩ জন দাঁড়িয়েছে।

অপর দিকে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ একদিনে দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯০ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু বেড়েছে ৭১ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন চার লাখ ৪১ হাজার ৪২ জন।

এ দিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ফিরে এসেছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে এবং মঙ্গলবার এই সংখ্যা চার লাখের নিচে নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন : ট্রুডোর নির্বাচনি প্রচারণায় পাথর নিক্ষেপ

গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৪২ জন মানুষ। অপর দিকে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৩১ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে তিন লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের মোট সংক্রমিত রোগীর ১ দশমিক ১৯ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার এই হার কমেছে। এ দিকে গেল একদিনে ভারতে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

অন্য দিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার কমে ২ দশমিক ০৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত ৮ দিন যাবত দেশটিতে এই হার তিন শতাংশের নিচেই রয়েছে।

আরও পড়ুন : মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধ যুদ্ধ’ ঘোষণা

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।

ওডি/কেএইচআর