আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য গোপনে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের পরীক্ষামূলক একটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) জাপানের দু'টি বেনামি গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে এক মার্কিন বিশ্লেষক এমনটাই দাবি করেছেন। খবর রয়টার্সের।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হ্যারি কাজিয়ানিস জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে চীনের পাঠানো ভ্যাকসিনটি প্রেসিডেন্ট কিম এবং উত্তর কোরিয়া আরও শীর্ষ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা গ্রহণ করেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তার অতে, চীনের তৈরি ভ্যাকসিনটি কোন কোম্পানির এবং এটি নিরাপদ এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে কিনা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
১৯-ফোর্টিফাইভ নামে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কাজিয়ানিস লিখেছেন, কিম জং উন এবং তার পরিবারের সদস্যসহ দেশটির উচ্চ পর্যায়ের বহু কর্মকর্তা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। চীনা সরকারের সরবরাহকৃত এই ভ্যাকসিনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন : শিশু হত্যার ছবিটি ভুয়া : চীনকে ক্ষমা চাইতে বলছে অস্ট্রেলিয়া
মার্কিন বিজ্ঞানী পিটার জে হোতেজের বরাতে হ্যারি দাবি করেন, চীনে কমপক্ষে তিনটি কোম্পানি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। এগুলো হচ্ছে- সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড, ক্যানসিনোবায়ো এবং সিনোফ্রাম গ্রুপ।
সম্প্রতি সিনোফ্রাম কোম্পানি দাবি করেছে, তাদের তৈরি করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে চীনের প্রায় ১০ লাখ মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। যদিও এই তিনটি কোম্পানির কেউই এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ঘোষণা দেয়নি।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলকে স্বীকৃতির বিষয়টি সরাসরি নাকচ করলেন ইমরান খান
অনেক বিশেষজ্ঞই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, কিম জং উনকেও হয়তো পরীক্ষামূলক কোনো ভ্যাকসিনই প্রদান করা হয়েছে। সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ চই জুং হান বলেন, যদিও এখনও চীনের কোনো ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি তবে কোনো ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ তা না জেনেই সেটা গ্রহণ করবেন না কিম। ২০১২ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেন এই বিশেষজ্ঞ।
পূর্ব এশিয়াভিত্তিক বিশ্লেষক মার্ক বেরি বলেন, বেইজিংয়ের মাধ্যমে সরবরাহকৃত কার্যকরী ইউরোপিয়ান ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারেন কিম। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে অনেক বড় ঝুঁকি থাকতে পারে। কিন্তু কিম হয়তো চীনের তৈরি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পেয়ে বেশ খুশি।’
আরও পড়ুন : ইসরায়েলি বিমানের জন্য এবার নিজেদের আকাশ খুলে দিল সৌদি
গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর থেকে ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চীনের সঙ্গে সীমান্ত থাকার পরও প্রথম থেকে দেশকে করোনা শূন্য দাবি করে আসছেন কিম। উত্তর কোরিয়া বলছে, তাদের দেশে একজনও করোনা রোগী নেই। যদিও পিয়ংইয়ংয়ের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড