আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করায় কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছিল সিরিয়ায়। তবে সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিরোধীদের রকেট হামলায় ইদলিবে দুই তুর্কি সেনা নিহতের জেরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাতে সিরিয়ার ইদলিবে তুর্কি সেনাদের লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। এতে সিরিয়ায় মোতায়েন তুরস্কের দুই সেনা নিহতের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর ‘আল-জাজিরা’।
মিডল ইস্ট আইসহ মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির মধ্যে রকেট হামলায় সেনা নিহতের ঘটনায় তুরস্ক বেশ ক্ষুব্ধ। এর প্রতিশোধ নিতে রুশ সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলা চালানোর কথা ভাবছে তুরস্কের সেনাবাহিনী।
এখনো কোনো দেশ কিংবা গোষ্ঠী বৃহস্পতিবারের রকেট হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে তুরস্কের দাবি, রুশ সমর্থিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীই এই হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান শুরু করে দেশটির সরকারি বাহিনী। এ ক্ষেত্রে তাদের সমর্থন দেয় রাশিয়া। অন্যদিকে শরণার্থী সমস্যার অজুহাতে এই অভিযানের বিরোধিতা করে তুরস্ক। আর তাতে তুর্কিদের প্রতি সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র। একপর্যায়ে রুশ সমর্থিত সিরীয় বাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘাতে জড়ায় তুর্কি সেনারা।
এমন অবস্থায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইদলিবে তুর্কি সেনাদের ওপর বিমান হামলা চালায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। এতে ৩৪ জন তুর্কি সেনা নিহত হন। ওই হামলার পরপরই সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। আর ওই বৈঠকের পরই সিরিয়ার ইদলিবে অপারেশন ‘স্প্রিং শিল্ড’ পরিচালনার ঘোষণা দেয় তুরস্ক। এই অভিযানে কয়েকশত সিরীয় সেনা নিহত হন।
রকেট হামলায় সেনা নিহতের প্রতিশোধ নিতে তুরস্ক যদি এবারও এ ধরনের অভিযান শুরু করে তবে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তাছাড়া এখনো সিরিয়ায় অসংখ্য তুর্কি সেনা মোতায়েন রয়েছে। প্রয়োজনে যে কোনো মুহূর্তেই অভিযান শুরু করতে পারেন তারা। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি অ্যাকারই এ ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : সংকট নজিরবিহীন, মন্দা আসন্ন : জাতিসংঘ মহাসচিব
তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার জন্য তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজেই রাশিয়ায় গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা চাই সিরিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকুক। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তুর্কি সেনাদের ওপর হামলা চালানো হলে সেটা আমরা সহ্য করব না। এর কঠিন প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
ওডি/এসসা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড