• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইরান থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছেন ট্রাম্প

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২১
ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র
ইরানি সরঞ্জাম, (ছবি : সংগৃহীত)

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩ বছর চলে গেছে। এই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের শক্তি বৃদ্ধি থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়াও রুখতে পারেননি তিনি। এসব কারণে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেতজ মঙ্গলবার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। ওই নিবন্ধে ইরান বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিকে ‘বিশৃঙ্খল’ নীতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু নীতি সফল এবং বাকিগুলো ব্যর্থ বলেও উল্লেখ করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তাদের ক্ষমতা বিস্তৃতি নজরে রাখা। ইরানের পরমাণু কার্যক্রমের বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর চাপে বড় সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। তিনি ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এতে ইরান ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপে পড়ে। কিন্তু তারপরও তারা নিজেদের কার্যক্রম থেকে সরে আসেনি। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত নিজেদের শক্তিশালী করে যাচ্ছে তেহরান। এমনকি পরমাণু কার্যক্রমও গতিশীল করেছে। ফলে দ্রুতই তারা পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হবে। এ অবস্থায় ট্রাম্প হয়তো ইরানের সঙ্গে আবারও নতুন কোনো চুক্তিতে আসতে বাধ্য হবেন।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টি কোনোভাবেই থামাতে পারছে না ট্রাম্প প্রশাসন। এরই মধ্যে ইরাকে ইরান-সমর্থিত যোদ্ধারা ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এছাড়া ইরানের সামরিকবাহিনীর সদস্যরাও সরাসরি ইরাকে কাজ করছে। ইরাকের পাশাপাশি সিরিয়াতেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে ইরান। সেখানে তাদের স্থায়ী বিমান ও নৌঘাঁটি রয়েছে।

অন্যদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ। হিজবুল্লাহর কাছে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল মজুদ রয়েছে, যার মধ্যে শক্তিশালী কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের দেওয়া বলেই ধারণা করা হয়। এর সঙ্গে ইরাক ও ইয়েমেনেও শক্তিশালী সব ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করেছে ইরান।

আরও পড়ুন : ইরানি হামলায় আরও সেনা আহতের কথা স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

হিজবুল্লাহ তাদের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল মজুদ দিয়ে যে কোনো জায়গা থেকে ইসরায়েলকে হুমকি দিতে পারে। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে ওই অঞ্চলে যাওয়া-আসা করা জাহাজ অনেকটা ইরানের ইশারায় নিয়ন্ত্রিত হয়।

সবমিলিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইরান। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় আরও শক্তিশালী হয়েছে তেহরান। সম্প্রতি ইসরায়েলের সামরিকবাহিনী নিজেদের চ্যালেঞ্জের তালিকায় তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে স্পষ্ট যে, ইরানের সমর্থনেই কাজ করবে তুরস্ক।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের এমন একক আধিপত্যে স্বাভাবিকভাবেই কোণঠাসা ইসরায়েল। কারণ, ইরান সমর্থিত সব বাহিনী ঘিরে রেখেছে তেল আবিবকে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কোনো বিতর্কিত পদক্ষেপ নিলেই চতুর্দিক থেকে ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। চারদিক থেকে হামলা হলে স্বাভাবিকভাবেই ছিন্নভিন্ন হবে ইসরায়েল। এ ক্ষেত্রে ইরান তাদের লক্ষ্য সফলভাবেই বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প।

ওডি/ডিএইচ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড