• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সমুদ্রে হেঁটে বেড়ায় যে অদ্ভুদ মাছ

  ভিন্ন খবর ডেস্ক

২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:৪৭
বিরল প্রজাতির পিংক হ্যান্ডফিশ
বিরল প্রজাতির পিংক হ্যান্ডফিশ। (ছবি: সংগৃহীত)

জলজ প্রাণির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মাছ। পাখনার সাহায্যে পানিতে সাঁতার কাটে এরা। এমনটাই এতদিন জেনে এসেছেন বিশ্ববাসী। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যে উপকূলের অদূরে হেঁটে বেড়াতে দেখা গেছে এক প্রজাতির মাছকে।

বিরল প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব এই প্রথম নয় ২২ বছর আগে ১৯৯৯ সালে দেখা গিয়েছিল এই মাছেদের। পাখনার বদলে এদের রয়েছে মানুষের হাত সদৃশ পাখনা। এজন্য এর নামও পিংক হ্যান্ডফিশ। তবে গোলাপি ছাড়াও আরও কতেকটি রঙের হয় এই মাছগুলো। বিরল প্রজাতির এই পিংক হ্যান্ডফিশ এ পর্যন্ত মোট চার বার এই মাছের দেখা পাওয়া গেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, মাছটি অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বিপন্ন প্রাণির তালিকায় যোগ করেছে। তাসমানিয়া উপকূলে বিপুল সংখ্যায় এই মাছের দেখা মিলত। কিন্তু ক্রমে বিলুপ্তির পথে চলে যায় তারা। ২০১২ সালে এই মাছকে অতি বিপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত করা হয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্প্রতি সমুদ্রে গভীরে এক মেরিন পার্কে তাদের এক ক্যামেরায় মাছটি ধরা পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গলদা চিংড়ি বিরক্ত করার পর ১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ মাছটি পাথরের তলা থেকে বেরিয়ে আসছে।

আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল মাছটি অগভীর পানিতে বসবাস করে। কিন্তু এখন দেখা গেল এটি গভীর সমুদ্রেও বিচরণ করে থাকে। তাসমানিয়ার দক্ষিণ উপকূলের কাছে ৩৯০ ফুট গভীরে এর বাস।

ইউনিভার্সিটি অফ তাসমানিয়ার সমুদ্র জীববিজ্ঞানী নেভিল ব্যারেট বিবিসিকে বলেন, এই আবিষ্কার খুবই উত্তেজনাকর। যেহেতু অনেক বেশি জায়গা নিয়ে এই মাছটি ঘোরাফেরা করে, তাই পিংক হ্যান্ডফিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে আশঙ্কা ছিল তা কিছুটা কমেছে।

বিজ্ঞানীরা আরও জানান, অন্যান্য মাছের যেমন পাখনা রয়েছে তেমন এ মাছের রয়েছে দুটি বড় মাপের হাত। পিংক হ্যান্ডফিশ হাতগুলো ব্যবহার করে ঘোরাফেরা করে। তারা সাঁতারও জানে। এদের চেহারা খানিকটা গম্ভীর ধরণের। দেখলে মনে হবে হয়তো কোনো মুরব্বি বাচ্চাদের কোলাহল দেখে বিরক্ত হচ্ছেন। তেমন গম্ভীর ভঙ্গিতেই হেঁটে চলেন।

আরও পড়ুন : নারী থেকে দাপুটে পুরুষ হয় যে মাছেরা

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তাসমানিয়া উপকূলে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছিলেন। তখনই এই মাছ দেখতে পান তারা। তাসমানিয়া উপকূলে শীতল স্রোতের মধ্যে দেখা গিয়েছে এই মাছকে। কী ভাবে বিরল প্রজাতির এই মাছ সংরক্ষণ করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

ওডি/জেআই

আপনার চোখে পড়া অথবা জানা অন্যরকম অথবা ভিন্ন স্বাদের খবরগুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড