শিক্ষা ডেস্ক
ফরিদপুর, লক্ষ্মীপুরসহ আরও ৮ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় নিয়োগপত্রের ওপর এবং বাকী ৬ জেলার নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ছয় মাসের জন্য এটি বলবত থাকবে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই আট জেলার বিভিন্ন প্রার্থীর করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, জামিউল হক ফয়সাল ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
যে আট জেলার নিয়োগ কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ।
সাত জেলার নিয়োগ প্রার্থীদের পক্ষে করা রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আদালত এই নিয়োগপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এ কারণে ওই নিয়োগপত্রের ভিত্তিতে আপাতত কেউ চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন না। আদালত এ বিষয়ে রুলও জারি করেছেন। বাকি ৫ জেলায় এখনো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এ কারণে ওই ৫ জেলায় নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে সরকারি হচ্ছে ১৫ কলেজ
আইনজীবী আরও বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে ষাট শতাংশ মহিলা, বিশ শতাংশ পৌষ্য এবং বাকি বিশ শতাংশ সাধারণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই ফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।’
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড