• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অযত্ন-অবহেলায় হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের শৌচাগার

  হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:২৬
হাবিপ্রবি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ব্যবহার্য শৌচাগারগুলোর বেহাল দশা। ছিটকিনি, বদনা, ট্যাপে পানি না থাকা নিয়মিত সমস্যায় পরিণত হয়েছে। কোনো কোনো শৌচাগার বন্ধ আছে বছর ধরে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রশাসনের অযত্ন ও অবহেলা।

সরেজমিনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির নীচতলা ও ২য় তলায় শৌচাগার থাকলেও প্রায় ১ বছর ধরে সেগুলো বন্ধ আছে। ফলে টিএসসিতে অবস্থানকালে প্রাকৃতিক কাজ সারতে ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে যেতে হয়। সেখানে ছাত্র ও ছাত্রীদের আলাদা কোন শৌচাগার নেই। ফলে সেখানেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এক ছাত্রী প্রবেশ করলে অন্য আরেকজন থাকে পাহারায়!

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনের নীচতলায় কৃষি রসায়ন বিভাগের শৌচাগারটি বন্ধ করে দিয়েছেন বিভাগ। শৌচাগারটির দরজায় লেখা আছে, এই টয়লেটটি ব্যবহারের অযোগ্য। ২য় তলায় টয়লেট আছে। গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে এভাবেই বন্ধ আছে শৌচাগারটি।

শৌচাগার বন্ধের নোটিশ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

এছাড়াও কৃষি অনুষদ ভবনের অন্য শৌচাগারগুলো, ড. এম. এ ওয়াজেদ আলী ভবন, ডিভিএম ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ভবন ও জিমনেশিয়ামের শৌচাগারগুলোরও বেহাল অবস্থা। সেগুলোর অধিকাংশই ব্যবহারের অনুপযোগী। বেসিনে ট্যাপ আছে কিন্তু পানি আসে না, আবার কোনোটিতে ট্যাপই নেই। কোনটির পানির ট্যাপ ভেঙে অনবরত পানি পড়ে শৌচাগারের মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে।

বেশিরভাগ বেসিনের উপরেই আয়না উধাও হয়ে গেছে, আবার পুরোটা থাকলেও তার উপর রং পড়ে চেহারা দেখা যায় না। অধিকাংশ শৌচাগারের ফ্লাশ অচল। কোনটির ফ্লাশে ধুলো-বালির আবরণ পড়ে আছে।

অনেকগুলো শৌচাগারে বদনা পাওয়া যায় নি, তাছাড়া অনেক শৌচাগারের দরজায় কোনও ছিটকিনি নেই।অনেক শৌচাগারের লাইট নেই, থাকলেও সেগুলো জ্বলে না।

কয়েকটি শৌচাগারের কাছে ময়লার দুর্গন্ধে যাওয়াই সম্ভব হয় না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালন না করায় পরিবেশ এমন নোংরা হয়ে আছে। দুর্গন্ধের কারণে ভেতরে প্রবেশ দায়। এমনই বেহাল অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত অনুষদ ভবনসমূহের শৌচাগারগুলোর। দিনের পর দিন পরিষ্কার না করা ও তদারকির অভাবে নোংরা হয়ে থাকে অনুষদসমূহের প্রায় প্রত্যেকটি শৌচাগার।

ড. এম. এ ওয়াজেদ আলী ভবনের শৌচাগারগুলো ছাত্র ও ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য সাইনবোর্ড দিয়ে আলাদা করা হলেও সাইনবোর্ডগুলো উধাও হয়ে গেছে। ফলে এ ভবনে শৌচাগার ব্যবহারকারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অডিটোরিয়াম-১ এর শৌচাগারে অধিকাংশ সময় পানি থাকে না। ফলে সেখানে কোনো অনুষ্ঠান হলে অংশগ্রহণকারীদেরকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হারুণ বলেন, 'শৌচাগারগুলোর দুর্গন্ধের কারণে বমি চলে আসার মত পরিস্থিতি হয়'।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার শাখার মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম সরকার বলেন, সম্পত্তি শাখার অধীনে ৬ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী আছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনে আলাদা পরিচ্ছন্ন কর্মী আছে তারা সচেতন হলেই শৌচাগারগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে'।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, বন্ধ শৌচাগারগুলোর বিষয়টি প্রকৌশল শাখায় জানানো হয় নি। আমাদেরকে জানালে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি'।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড