অধিকার ডেস্ক
শিশুদের গণতন্ত্র চর্চা, ছাত্রীদের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতার অভ্যাস গড়ে তুলতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবারও চালু হচ্ছে ‘হলদে পাখি’দের কার্যক্রম। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রকল্প তৈরি করছে।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্রীদের বয়সভিত্তিক একে অপরের সাহায্যে দেশে-বিদেশে গার্ল গাইডদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে হলদে পাখি কার্যক্রম সম্প্রসারণ’।
মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, মেয়েদের বয়সের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন চারটি শাখায় ভাগ করা হয়। এর মধ্যে হলদে পাখি (৬-১০ বছর), যার মূলমন্ত্র সাহায্য করা; গার্লস গাইড (১০-১৬ বছর), যার মূলমন্ত্র সদা প্রস্তুত থাকা; রেঞ্জার (১৬-২৪ বছর), যার মূলমন্ত্র সমাজসেবা, যুবনেত্রী গাইড (২৪-৩০ বছর), যার মূলমন্ত্র সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা এবং ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসরণ।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে হলদে পাখির কার্যক্রম চলছিল। কার্যক্রমটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবং প্রকল্পের খসড়া ডিপিপি (ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যান) তৈরির যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। ডিপিপি চূড়ান্ত হলে একনেকের অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।’
প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩০ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। যার বাস্তবায়নকাল আগামী ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। গত ১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে হলদে পাখির কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের যাচাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড