• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ব্যস্ততাকে দিলাম ছুটি, ঘুরে এলাম মহাস্থানগড়

  সুজানা হায়দার

১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৪৮
সৈয়দ আহম্মদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
সৈয়দ আহম্মদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

শিক্ষা সফর স্নাতক লেভেলে পড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে সুন্দর মূহূর্তগুলোর মধ্যে একটি। ভ্রমণ মানুষকে কূপমণ্ডুকতার ছত্রছায়া থেকে মুক্ত করে বিশাল পৃথিবীর অপার সৌন্দর্যের মধ্যে ঠাঁই দেয়। মানুষের মনকে করে তোলে উদার। ক্ষুদ্র এ মানব জীবনকে দান করে গতিশীলতা। আর সেই ভ্রমণ যদি হয় শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে তাহলে তো কথাই নেই। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে মানুষের অসম্পূর্ণ ও আবদ্ধ জ্ঞান বিকাশ লাভের সুযোগ পায়।

শিক্ষা সফর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনকে করে আনন্দময় ও পরিপূর্ণ। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পায় নিজের দেশ ও জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তথা নিজের শেকড় সম্পর্কে জানতে। এছাড়া দেশের বাইরে সফরের মাধ্যমে তারা নানা দেশ ও জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রার সাথে পরিচিত হতে পারে যা তাদের জ্ঞানের সীমাকে প্রসারিত করে। সৈয়দ আহম্মদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের আয়োজনে এমনই এক শিক্ষা সফরের গল্প নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

যেদিন থেকে শিক্ষা সফরের কথা ওঠে সেদিন থেকে ভেন্যু ঠিক করা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। অবশেষে বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে রাজশাহীর জিয়া পার্ককে ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক কিছু জটিলতার কারনে ভেন্যু পরিবর্তন করে জয়পুরহাট শিশু উদ্যান এবং মহাস্থানগড়কে নির্ধারণ করা হয়।

শিক্ষা সফরে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর শিক্ষার্থীরা সকাল টার মধ্যে বগুড়া জিলা স্কুলের সামনে এসে উপস্থিত হয়। তারপর গোলাম ফারুক স্যার, শহিদুল্লা স্যার ও রাসেল স্যার সকলকে নিয়ে গাড়িতে উঠলেন। শুরু হলো আমাদের যাত্রা। প্রথমে একটু খারাপ লাগছিল ভেন্যু পরিবর্তন হবার জন্য কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সবার মন ভালো হয়ে গেল।

এক দেড় ঘন্টা পরেই আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেলাম। নেমে আমরা সবাই ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। অনেক গোছানো সুন্দর একটি জায়গা। লেকের নৌকায় ওঠে বেড়ানো, সাথে চলছিল এমন মুহুর্তগুলো ফ্রেমে বন্দি করে রাখার প্রতিযোগিতা। জয়পুরহাট শিশুপার্কে ঘুরাঘুরি শেষ করে আমরা চলে এলাম মহাস্থানগড়। এখানে এসে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুরাঘুরি করে তারপর স্যারদের ডাকে একসাথে হওয়া। স্যাররা আমাদের মহাস্থানগড়ে আশে পাশের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ দেন।

আমরা সবাই মহাস্থানগড়ের আশে পাশের অঞ্চলের মানুষের নাম, পেশা, আয়-ব্যয়, শিক্ষা, পরিবারের সদস্য সংখ্যা এ জাতীয় তথ্য সংগ্রহ করি যেগুলো দিয়ে পরবর্তীতে আমাদের প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। এই তথ্যগুলো ভুগোল ও পরিবেশ বিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই জরিপ কার্যের মাধ্যমে আমরা ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করি।

এক দিনের ক্লাস, পরীক্ষার, অ্যাসাইনমেন্ট সব কিছুকে ছুটি দিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে একটু মুক্ত বাতাসের খোঁজে বেরিয়েছিলাম। দিন শেষে অনেক প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে যখন ফিরছিলাম তখন শুধু মনে হয়েছিল এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল দিনটি। এই দিন আমাদের সকলের স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে থাকবে চিরদিন।

লেখক : শিক্ষার্থী, সৈয়দ আহম্মদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড