• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ, প্রশাসনকে বিভিন্ন মহলের ফুলেল শুভেচ্ছা

ইবিতে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ চালু, খোলা হলো আরও ৩ অনুষদ

  ইবি প্রতিনিধি

১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:৪১
ফুলেল শুভেচ্ছা
প্রশাসনকে বিভিন্ন মহলের ফুলেল শুভেচ্ছা (ছবি : সংগৃহীত)

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন একের পর এক যুগান্তকারী ও সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের পথে এগিয়ে নিতে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী’র (রাশিদ আসকারী) সাহসী ও দক্ষ নেতৃত্বকে সার্বিক সহযোগিতা করে চলেছেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহা।

প্রশাসনের এই তিন কর্ণধার বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যে কোনো সমস্যাকে তারা পাশ না কাটিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করছেন। আর এ কারণেই অতীতের সকল প্রশাসনের চেয়ে উন্নয়ন ও সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছেন বর্তমান প্রশাসন।

গেল ১৩ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আরও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন বর্তমান প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের অবসান ঘটিয়েছেন। তারা বিজ্ঞান অনুষদকে ভেঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদ করেছেন। এর ফলে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা একদিকে পাবে বিজ্ঞানের মান এবং অপরদিকে পাবে প্রকৌশলীর মান। এছাড়া মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদকে ভেঙ্গে মানবিক অনুষদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ করেছেন। এখন থেকে ৫টি অনুষদের পরিবর্তে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৩টি বিভাগ পরিচালিত হবে।

এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলামকে, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. মহা. আনোয়ারুল হককে, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. এস এম মোস্তফা কামালকে, মানবিক অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. নেছার উদ্দিন আহমদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে প্রফেসর ড. নাসিম বানুকে নিয়োগ দেন।

এ খবর শিক্ষার্থীদের কানে পৌঁছানো মাত্রই উল্লসিত হয়ে ওঠেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই সংবাদটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয় যা দেশব্যাপী আলোড়িত হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী (রাশিদ আসকারী), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহাকে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগসহ বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে ২০০৮ সালে বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর একই অনুষদের শিক্ষক হওয়ায় আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি পূরণের স্বপ্ন দেখে। সে সময় ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সফল হননি।

পরবর্তীতে এ দাবিতে আবারও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চলমান রাখে। অবশেষে বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেন। বর্তমান প্রশাসনের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড