রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছনে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে তাকে মারধর করা হয়। তবে ছাত্রলীগের দাবি- ওই শিক্ষার্থী ছাত্রদল করে এবং সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে, তাই তাকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে, মারধর করা হয়নি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নাফিউল ইসলাম জীবন। সে আরবি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্তরা হলো- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিশু। ঘটনার সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু উপস্থিত থাকলেও তিনি মারেননি বলে জীবন জানায়।
নাফিউল ইসলাম জীবন জানায়, মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ আমাকে ফোন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আসতে বলেন। আমার পরীক্ষা আছে জানিয়ে আমি তার সঙ্গে দেখা করিনি। পরে পরীক্ষা শেষ হলে ইমতিয়াজ আমাকে আবার ফোন দেয় এবং ছাত্রলীগের টেন্টে আসতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর তারা আমার ফেসবুক চেক করে এবং আমাকে মারধর করে।
জীবন অভিযোগ করে বলেন, ‘ইমতিয়াজ আমার বিভাগের বড় ভাই। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমি সক্রিয় ছিলাম। ওই সময় ইমতিয়াজ ভাই আমাকে ক্লাস চালু রাখতে বলেছিল। কিন্তু আমি ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাই তারা আমাকে মারধর করেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা বলেন- ‘জীবন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যার প্রমাণ তার ফেসবুক থেকে আমরা পেয়েছি। এছাড়াও সে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে বিভিন্ন সময় পোস্ট করেছে। আর আমরা তাকে কোনো ধরনের মারধর করিনি। তাকে ডেকে সতর্ক করেছি মাত্র।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড