• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তীতে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির আলোচনা সভা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ মে ২০২৩, ২১:০৫
সুবর্ণজয়ন্তী
আলোচনা সভায় (বাম থেকে) সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর মো: আল-আমিন মোল্লা, উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আবুল বাশার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর শামীম আরা হাসান ও রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা। ছবি- অধিকার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক লাভের ৫০ বছর আজ। ১৯৭৩ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক তুলে দেওয়া হয়। জাতির জনকের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এ পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির গ্রীন রোডের ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

একাত্তর সালে এই অবিসংবাদিত নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাত্র দুবছর পরে বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আবুল বাশার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তির ওপর বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর শামীম আরা হাসান, সাবেক ট্রেজারার ও ব্যবসায় প্রশাসনের প্রফেসর মো: আল-আমিন মোল্লা । অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান বুলবুল আহমেদ, এমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো: মোস্তফা হোসেন, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) ছাত্র ছাত্রীদের জাতি, দেশ, পৃথিবীর রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করতে বলেছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা বঙ্গবন্ধুকে ধরে রাখতে পারিনি। বিশ্বে আমরাই একমাত্র জাতি যেখানে প্রাথমিক থেকে হাইয়ার এডুকেশন পর্যন্ত খুব সামান্য টাকায় পড়াশুনা করতে পারি।

প্রধান অতিথি করোনাকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কারণে বেসরকারি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, নিজেরা দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আমরা জাতি হিসেবে মহৎ, প্রমাণ করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এ সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন, যার কারণে অনেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আজ আমরা নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক। আমাদের হয়তো কিছু গ্যাপ আছে, কিন্তু আমরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. সাজ্জাদ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত হওয়ার পরামর্শ দেন।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড