• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জীবনের মন্থরতম অর্ধশত শচীনের

  ক্রীড়া ডেস্ক

২৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:২৫
জীবনের মন্থরতম অর্ধশত শচীনের
ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার (ফাইল ছবি)

সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৬৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৬৪টি ফিফটি রয়েছে ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের। যা বিশ্ব ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ড। বাইশ গজে রেকর্ড ফিফটি হাঁকানো ভারতীয় এ ব্যাটিং কিংবদন্তি এবার জীবনের ইনিংসেও পঞ্চাশের পথে। আগামীকাল সোমবার (২৪ এপ্রিল) ৫০ বছর পূর্ণ হবে লিটল মাস্টারের। যদিও এই ব্যাটিং গ্রেটের মতে, এটি হতে যাচ্ছে তার জীবনের মন্থরতম ফিফটি।

শচীনের জন্মদিনটা দিন দুই আগেই বেশ ঘটা করে পালন করল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গতকাল শনিবার (২২ এপ্রিল) ওয়াংখেড়েতে মুম্বাই বনাম পাঞ্চাব ম্যাচে দলের মেন্টরের জন্য বিশেষ আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। ম্যাচ চলাকালেই কাটা হয় জন্মদিনের কেক। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, স্টেডিয়ামের প্রতিটি আসনে রাখা থাকবে শচীনের মুখোশ। মাঠের ৩৩ হাজার ক্রিকেটপ্রেমীকে অনুরোধ করা হয় শচীনের জন্য বিশেষ মুখোশটি পরার জন্য। তা হলে, সে সময় শচীন যে দিকেই তাকাবেন শুধু নিজেকে দেখতে পাবেন।

ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যও ছিল বিশেষ আকর্ষণ। শচীনের সঙ্গে সেলফি তোলারও সুযোগ পেয়েছেন তারা। স্টেডিয়ামের বাইরে রাখা ছিল শচীনের অবয়ব। এমন আয়োজনে আপ্লুত শচীনও। কেক কাটার পর ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীকে হাসতে হাসতেই ভারতীয় এই ক্রিকেট ঈশ্বর বললেন, এটাই আমার জীবনের মন্থরতম ফিফটি। আগে কোনো দিন এত দেরি করে ৫০ করিনি।

শচীন আরও বলেন, ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই ক্রিকেট খেলার স্বপ্নটা শুরু হয়েছিল। ভারতের হয়ে এত বছর খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ১৯৮৯ থেকে খেলা শুরু করার পর এখন ২০২৩, ৩৪ বছর ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে ভাল সময়। যেটা চেয়েছিলাম সেটাই হয়েছে।

এ দিকে জন্মদিন উদযাপন ছাড়াও ২২ এপ্রিল আরেকটা দিক থেকেও বিশেষ দিন শচীনের জন্য। ২২ এপ্রিল ১৯৯৮ সালে শারজায় শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩১ বলে ১৪৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। ক্রিকেট–বিশ্বে টেন্ডুলকারের ওই ইনিংস ‘স্যান্ড স্টর্ম’, ‘ডেজার্ট স্টর্ম’ বা ‘মরুঝড়’ নামে পরিচিত। ইনিংসটির এমনই মাহাত্ম যে ২৫ বছর পূর্তিও ঘটা করে পালন করা হয়েছে।

নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেছেন, মনে হচ্ছে না, ওটা ছিল ২৫ বছর আগের ঘটনা। এখন আমার ২৫ বছর বয়সী মেয়ে আর ২৩ বছর বয়সী ছেলে আছে। সময় কত দ্রুত চলে যায়, তাই না? এই সময়ে আমরা কত বদলে গেছি। সবাই আরও অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। তবে কেউ বুড়ো হয়ে গিয়েছি, আবার কেউ মুটিয়ে গিয়েছি। সে তুলনায় আমি ঠিকঠাক আছি (হাসি...)।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড