• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিম্বাসের কাছে পাওনা ২২ মিলিয়ন, হাল ছাড়ছে বিসিবি

  ক্রীড়া ডেস্ক

১৩ জুন ২০২০, ১৬:১৬
নিম্বাসের কাছে পাওনা ২২ মিলিয়ন, হাল ছাড়ছে বিসিবি
নিম্বাস ও বিসিবির লোগো (ছবি : সংগৃহীত)

নিম্বাস স্পোর্টস লিমিটেডের কাছ থেকে পাওনা ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আদায় করতে আরও একবার আইনি লড়াইয়ের পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্প্রতি নিম্বাস দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে। ফলে আপাতত বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮৭ কোটি টাকা পুনরুদ্ধারের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না বিসিবি।

২০০৬ সালের নভেম্বরে ভারতীয় ক্রীড়া সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান নিম্বাস স্পোর্টসের সঙ্গে ৫৬.৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সম্পন্ন করে উৎসবের রঙ ছড়িয়েছিল বিসিবি। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খেলা সম্প্রচার স্বত্ব ছয় বছরের জন্য বিক্রি করে ধনী হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে সিনিয়র সহ-সভাপতি) মাহাবুবুল আনাম ও বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তারা।

যদিও প্রায় চার বছর পর জানা যায়, নিম্বাসের সঙ্গে চুক্তিটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি। বরং ভুলে ভরা চুক্তি থেকে ইচ্ছে মতো সুবিধা আদায় করে নিয়েছে নিম্বাস স্পোর্টস। বিষয়টা জেনেও সে সময় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ব্যাংক গ্যারান্টিও নেওয়া হয়নি।

২০১২ সালে চুক্তি শেষ হলেও বিবদমান অবস্থার শেষ হয়নি। নিম্বাসের দাবি, তাদের নির্ধারিত শিডিউলের আগেই ত্রিদেশীয় এবং ইংল্যান্ড সিরিজ আয়োজন করে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে বিসিবি। চুক্তি শেষে নিম্বাসের কাছে ৩২ মিলিয়ন ডলার পাওনার দাবি করে বিসিবি, যা ছাড় দিয়ে দাঁড়ায় ২২ মিলিয়ন ডলারে।

২০১২ সালের জুলাইয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় নিম্বাস। তখন তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে সিঙ্গাপুরে নিম্বাসের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করে বিসিবি। কিন্তু কোর্ট অব সিঙ্গাপুর গত ২২ মে বিসিবিকে জানিয়ে দেয়, নিম্বাস দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান।

এখন কোনো আপত্তি বা কিছু বলার থাকলে বিসিবিকে ২১ দিনের মধ্যে আরও একবার মামলা করতে হবে। মামলার জন্য বিসিবিকে বাড়তি ২ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে।

ক্রিকবাজের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দ্বিতীয়বার মামলা করার ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছে বিসিবি।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক দুই আইনি পরামর্শ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেও বিসিবি বিষয়টা নিয়ে অন্যভাবে ভাবতে শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে গত ৬ জুন সিঙ্গাপুর কোর্টে 'নো অবজেকশন লেটার' (অনাপত্তিপত্র) পাঠায় বিসিবি।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা যদি অনাপত্তিপত্র না পাঠাতাম, তাহলে আমাদের আইনি লড়াই ছাড়াও অন্য ঝামেলা পোহাতে হতো। ফলে, আমাদের বাড়তি অর্থ খরচ করতে হতো। আমরা এতে জড়িত হইনি কারণ নিম্বাস পুরোপুরি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় আমরা এর (আইনি লড়াইয়ের) কোনো উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছি না।

আরও পড়ুন : জুলাইয়ের আগে মাঠে ফিরছে না টাইগাররা

তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে একটি আইনি লড়াই চলছে। ওরা যেহেতু দেউলিয়া হয়ে গেছে, তাই এটাও এখন বাড়তি বিষয় হয়ে গেছে। এ কারণেই আমরা এর পেছনে না ছোটাই ভালো মনে করছি। আর এই সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই নেওয়া হয়েছে। তবে নিম্বাসকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই। আইনি প্রক্রিয়া জারি থাকবে কিন্তু এটাও সত্য যে ওদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড