• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঈদে কে দেবে ওদের নতুন কাপড়

  মো:আরিফ হোসেন, বরিশাল

২৬ মে ২০১৯, ১৯:৪৭
এতিম শিশু
মাদ্রাসায় এতিম শিশুরা (ছবি- দৈনিক অধিকার)

ঈদে সবাই পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদের আনন্দ-খুশি ভাগাভাগি করে নেবে। নতুন পোশাক পরে উৎসবে মাতবে। তবে যাদের পরিবার নেই। সেই এতিমরা কী করবে। কে দেবে ওদের নতুন কাপড়। এমনি শতাধিক এতিম শিশু রয়েছে বরিশালের পলাশপুরের আদর্শ গুচ্ছগ্রামে রহমানিয়া কেরাতুল কোরআন নুরানী হাফিজি মাদ্রাসায়।

মাদ্রাসায় গেলে কয়েকটি শিশু কান্না জড়িত কণ্ঠে বলে, আমরা এতিম, তাই আমাদের নতুন কাপড় দেওয়ার কেউ নেই। বাবা-মা আমাদের ছোট বেলায় মারা গেছে। আমাদের ঈদে আনন্দ হয় না।

এতিম শিশুরা জানায়, নতুন পোশাক নেই তাদের। পুরাতন কাপড় দিয়েই ঈদ করবে তারা। ঈদে সেমাই, পোলাউ, মাংস জুটবে কি না তাও নিশ্চিত নয়। তিন বেলাই খেতে হয় ডাল-ভাত।

এ দিকে অনেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনেক এতিম শিশুদের প্রতিবছর কাপড় বিলিয়ে দেয়। তাও পায় না এ শিশুরা। শুধু তাই নয়, কোনো বছর শীতেও তাদের কপালে একটি গরম পোশাক জোটে না। এসব কোমলমতি শিশুদের দিকে হাত বাড়ায়নি কেউ। এবার ঈদে কেউ তাদের পাশে দাঁড়াবে কি না তাও জানা নেই।

প্রায় ৫ বছর আগে বরিশাল নগরের পলাশপুরে আদর্শ গুচ্ছগ্রাম এলাকায় গড়ে উঠেছে রহমানিয়া কেরাতুল কোরআন নুরানী হাফিজি মাদ্রাসার ও লিল্লাহর বোর্ডটির নামের এ এতিমখানা। মো. নুরুল ইসলাম ফিরোজীর যৌথ প্রচেষ্টায় এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ঠাঁই মেলে শতাধিক এতিমের। মাদ্রাসায় আয় বলতে প্রতি বছর মাহফিল থেকে আসা কিছু অর্থ। এ থেকে এতিমদের মুখে দুই বেলা ডাল-ভাত উঠলেও রমজান মাস ও ঈদের দিন নতুন পোশাক দেওয়া সম্ভব হয় না।

মাদ্রাসার পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘এতগুলো মুখে খাবার তুলে দিতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। বর্তমানে বাজার ও চালের আনেক দাম। এসবের ব্যবস্থা করতে গিয়ে নিজের বসতভিটা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। এর বাইরে তাদের জন্য নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করার মতো সামর্থ্য আমার নেই।’

ওডি/এসএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড