• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে সকল গণমাধ্যমকর্মীরা

  রিয়াদ হোসাইন, মুন্সীগঞ্জ

০৪ মে ২০২০, ১৩:০৯
মুন্সীগঞ্জ
ছবি : সংগৃহীত

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব প্রায় অচল। এই অচলাবস্থার মধ্যেই সারাদেশের ন্যায় নিরলসভাবে কাজ করে চলছে মুন্সীগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীরা । এদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা সম্পর্কিত খবর একদম সামনের সারিতে সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে অনেকেই সাংবাদিকদের সামনের সারির যোদ্ধা বলে চিহ্নিত করছে। পেশার তাগিদে, খবর সংগ্রহের নেশায় সাংবাদিকরা অনেক সময়ই করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে চলে আসছেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সাংবাদিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সম্প্রতি দেশে একজন সিনিয়র সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। কয়েকজন এরই মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠেছেন।

এমতাবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগণের মাঝে সচেতনতার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি করোনার খবরসহ সকল সংবাদ তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে গণমাধ্যমের কর্মীরা। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা মোকাবেলায় জরুরি সভাসহ সকল ধরনের খবরা-খবর জনগণের মাঝে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন । এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নানা কর্মযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এ কর্মযজ্ঞের খবর দেশের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে, তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা।

মুন্সীগঞ্জের ছয় উপজেলায় দুই শতাধিক সাংবাদিক প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত আছেন। তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ পাঠাতে ছুটে চলছেন অবিরাম। সচেতন থাকলেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক কাজ করছে গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে।

এ জেলায় সাংবাদিকদের মধ্যে প্রেসক্লাব নিয়ে বিভাজন থাকায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা বলে জানান নবীন সাংবাদিকরা।

এ বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মো.ফয়সাল হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকরা। কয়েকটি গণমাধ্যম এরই মধ্যে তাদের কর্মীদের বাসায় বসে কাজ করার সুবিধা চালু করেছে। ঝুঁকি বিবেচনায় অন্যান্য গণমাধ্যমও তাদের কর্মীদের জন্য এ সুবিধা চালু করতে পারে। আমরা মনে করি, মহামারি সংকটে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা যেমন জরুরি, তেমনি সত্যনিষ্ঠ তথ্যসেবাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য গণমাধ্যমে কর্মরত সকলের জন্য সুরক্ষা পোশাকসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

দৈনিক ঢাকা টাইমস পত্রিকার মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি আরাফাত রায়হান সাকিব বলেন, ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে স্প্যানিশ ফ্লু নামের এক মহামারীতে মারা গিয়েছিলো পৃথিবীর ৫ কোটি মানুষ। তবে সে রোগটি করোনার চেয়ে কম ভয়াবহ ছিলো বলে গবেষকদের দাবী। তাহলে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা কম কেন? গবেষকরা এর একটি কারণ উদঘাটন করতে পেরেছে। তা হলো প্রচারমাধ্যম, গণমাধ্যমের ভূমিকা ও সামাজিক সচেতনতা। পূর্বে যোগাযোগ মাধ্যমের অপ্রতুলতার কারণে অধিকাংশ লোক জাগতিক বিষয়ে অজ্ঞ থেকে যেতো। এতে করে মহামারী দ্রুত বিস্তার লাভ করার সুযোগ পেয়েছিল। আর বর্তমান বিশ্বে গণমাধ্যমের অবস্থান শক্তিশালী। এখন আমরা প্রতি মূহুর্তে বিশ্বের সকল খবর সহজেই পেয়ে যাই। এতে করে আমাদের মধ্যে দ্রুত সচেতনতা তৈরি হয়েছে। রোগ প্রতিরোধের সুযোগ তৈরি হয়েছে। গণমাধ্যমে মফস্বল থেকে দেশের কেন্দ্রীয় পর্যায় গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিনিয়ত করোনার আপডেট জানাচ্ছে মানুষকে। পাশাপাশি জনসচেতনতার বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন। এ কাজ করতে তাদেরও কিন্তু বাইরে বের হতে হয়, জীবিকা চাইতে আর জনসাধারণ সচেতন করতেই জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে আমাদের। সরকারের উচিত বিষয়টি সুদৃষ্টিতে নিয়ে অতীব দ্রুত গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত সহ সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মো. জাফর মিয়া বলেন, জেলা পর্যায়ে বিশেষ করে মুন্সীগঞ্জে যেটা দেখছি সাংবাদিক নেতারা তাদের নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। যারা মাঠে ময়দানে কাজ করছে যেমন বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত ক্যামেরাম্যান বা ফটো সাংবাদিক এদের কথা কেউ ভাবছেনা। সব চাইতে ঝুঁকিতে ফটো সাংবাদিকরা। এক্ষেত্রে প্রশাসন বা সরকারী কর্মকর্তাদের উচিত কোন কোন সংবাদকর্মীরা মাঠে ময়দানে কাজ করছে তাদের খোঁজ নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের সংসার চালানোর সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তবে কোনো বিশেষ সাংবাদিক নেতার থেকে সংবাদকর্মীদের তথ্য না নেয়। কারণ তারা সব সময় তাদের পছন্দের তেলুয়া লোকদের সুপারিশ বা নামের লিস্ট দিয়ে থাকেন এতে করে প্রকৃত সংবাদকর্মীরা অবহেলিত রয়ে যায়।

দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি সোহেল টিটু বলেন, করোনা ভাইরাস-উদ্ভূত সংকট মোকাবেলায় সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত অবাধ তথ্য প্রবাহ । এই দুর্যোগে তথ্য প্রকাশ ও প্রচারে নিয়োজিত গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষা- বিশেষ করে নিয়মিত বেতন ভাতার পাশাপাশি আপদকালীন প্রণোদনা নিশ্চিত করতে মালিকপক্ষ ও সরকার উচিৎ বলে মনেকরি।

দৈনিক আমাদের কণ্ঠ পত্রিকার টংগিবাড়ী প্রতিনিধি শেখ রাসেল ফখরুদ্দিন বলেন, মাঠ পর্যায়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত সংবাদ সংগ্রহের তাগিদে ছুটে চলেছেন সংবাদকর্মীরা। সাবধানতা অবলম্বন করে সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। সরকারী ভাবে প্রত্যেক সংবাদকর্মীর সুরক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

দৈনিক মুন্সীগঞ্জের খবর পত্রিকার সম্পাদক এডভোকেট সোহানা তাহমিনা তার একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। থমকে গেছে পুরো পৃথিবী, তবে এখনো মাঠ পর্যায় কাজ করে যাচ্ছে গণমাধ্যমকর্মীরা । তারা জনকল্যাণে নিজকে বিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারকে ঝুঁকি মধ্যে রেখে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের কাছে তুলে ধরছেন নানা খবর আর ছবি। করোনায় তাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম নয়। মানুষের একদম কাছে গিয়ে কিংবা জনসমাগমে কাজ করা এসব সাংবাদিকদের করোনার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকলেও এদের সুরক্ষায় এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেনি বেশীরভাগ গণমাধ্যম। এদিকে, জাতীয় ও তৃণমূলের সাংবাদিকদের মধ্যে একটি ভারসাম্য সৃষ্টি হয়ে রয়েছে শুরুর থেকেই। তৃণমূলের সাংবাদিকরা সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেকটাই বি ত। তবে, আমি মনে করি তৃণমূলের সাংবাদিকরা কোনো অংশে কম নয়। সেই জায়গায় ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে । ভুলে গেলে হবে না মফস্বলের সংবাদ না হলে কোনো গণমাধ্যম পরিপূর্ণ আকার পাবে না । আবার পাঠক, দর্শক বা শ্রোতা হারাতে হবে মূহুর্তেই। তাই তৃণমূলের সাংবাদিকদের গুরুত্ব না দেওয়ার বিকল্প নাই। একজন তৃণমূলের সাংবাদিক দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতার জায়গায় বেশি সচেতন। অথচ দেশের এই সংকট মূহুর্তে কাজ করে যাওয়া প্রথম সারির যোদ্ধাদের বেতন সবচেয়ে কম । অনিয়মিত । কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কু-ব্যবস্থাপনা চক্রে বেতন-ভাতাদি দিচ্ছে না। এ কারণে জীবনমানের উন্নয়ন নেই তৃণমূলের গণমাধ্যমকর্মীদের। তাই সরকার, স্থানীয় প্রশাসন , রাজনীতি ব্যক্তিবর্গ ও সামর্থ্যবানদের উচিৎ সাংবাদিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি এই সংকটকালীণ মূহুর্তে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করা। একই সঙ্গে নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা করে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার এবং সমস্ত গণমাধ্যম মালিকদের সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান করেন তিনি।

দৈনিক রজতরেখা পত্রিকার সম্পাদক এডভোকেট শাহীন আমানুল্লাহ তার একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, মফস্বলের সংবাদকর্মীরা সবসময় নিষ্পিষ্ট থাকেন। সমাজের ভালো দিকগুলো যারা তুলে ধরেন তারাই সমাজে অবহেলিত। সরকারের উচিৎ যারা তৃণমূল থেকে হলুদ সাংবাদিকতাকে বর্জন করে সাংবাদিকতায় নিবেদিত প্রাণ তাদের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সার্বিক অবস্থানের বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। সমাজ কুলসিত মুক্ত রাখার জন্য অন্যতম ভূমিকা পালন করে সংবাদকর্মীরা। করোনার এমন পরিস্থিতি সমাজকে সুরক্ষার জন্য নিজেদের জীবন দান করে কাজ করে চলছেন তারা । এসময় তাদের জীবনমানকে নূন্যতম মোটামুটি রাখার জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। এই মহামারিতে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা জরুরি সাংবাদিকদের সহযোগিতায়। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে সাহসের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন সংবাদকর্মীরা । অন্য যেকোনো পেশার মানুষ মাসে বেতনের বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য। এদিকে, একজন মফস্বলের সংবাদকর্মী নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়িয়ে বেড়ান । আমি মনে করি অন্যান্য পেশা থেকে তাদের বিষয়ে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ । এছাড়া প্রেসক্লাবের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রেসক্লাবের বাহিরের সাংবাদিকদের সহযোগিতা করা সম্ভব হয়না প্রেসক্লাবের। আমি মনে করি প্রেসক্লাবের সীমাবদ্ধতার বাহিরে এসেও যদি অন্যান্য সংবাদকর্মীদের দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় তাহলে জেলার অনেক সংবাদকর্মী কিছুটা হলেও ভালো থাকবেন । সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, সামাজিক কিংবা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষদের সাহস যোগাতে যারা কাজ করছেন তাদের পাশে থাকতে হবে। ডাক্তার, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, গণমাধ্যমসহ জরুরী সেবার সঙ্গে যুক্ত সবার দায়িত্ব নিতে হবে। এই মূহুর্তে যারা কর্মহীন এবং দুঃস্থ, তাদের পাশে সহযোগী হয়ে যারা কাজ করছেন তাদেরও স্বীকৃতি থাকা দরকার। এব্যাপারে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। এটা যেমন সত্য। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষের পাশেও দাঁড়াতে হবে। সেই কাজ যে যেভাবে করছেন তাদের পাশে থাকতেই হবে।

দৈনিক সভ্যতার আলো পত্রিকার সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল তার একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন দেশের গণমাধ্যম কর্মীরা। পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় করোনার সংবাদ সংগ্রহ করছেন। অথচ গণমাধ্যমকর্মীদের জনসচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণার কারণে জনগণের মাঝে সচেতনতার বিশেষ তাগিদ কাজ করছে । এদিকে, মুন্সীগঞ্জ জেলায় আল্লাহর রহমতে এ পর্যন্ত কোনো সংবাদকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। আমার জানামতে জেলার সকল সংবাদকর্মী নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কাজ করে যাচ্ছেন । তবে সংবাদকর্মীদের আরো সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে । নিজেদের শতভাগ সুরক্ষার বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে । যদি সংবাদকর্মীরা কাজ করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে নিজেরাই দেশের জন্য বোঝা হয়ে যাবে । আমরা বোঝা হতে চাইনা । আমরা বোঝা কমিয়ে দিতে চাই সত্য সংবাদ প্রকাশ করে । আমরা মানুষের উপকার করতে চাই কোথায় অসহায় মানুষ ত্রাণ পেলো না, কর্মহীন মানুষের দুঃখ কষ্ট তুলে ধরতে চাই । করোনা ঝুঁকির মধ্যে দেশের করোনাসহ সকল ধরনের খবর তুলে ধরার জন্য আমি সংবাদকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এদিকে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মফস্বলের যারা সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করেন তাদের অনেকের বেতন-ভাতাদি ঠিকমতো পরিশোধ করেন না গণমাধ্যমের মালিক পক্ষ । আমাদের দাবি, এই মহামারির সময় সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা যথাসময় পরিশোধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত সংবাদকর্মী যারা আছেন তাদের স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা ও খোঁজখবর নেওয়া সকলের দায়িত্ব। ইতোমধ্যে যেসকল সংবাদকর্মীদের রেশন কার্ড প্রয়োজন তাদের ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও টিসিবির স্বল্পমূল্যে দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করে সেখানেও আমাদের দাবি আছে, উপজেলা পর্যায় বিস্তার করার জন্য । সেখানে সংবাদকর্মীদের সাথে অন্য সাধারণরাও যাতে সুবিধা নিতে পারে। সব মিলে আমরা সংবাদকর্মীরা মানব কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ আছি। সংবাদকর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা সবসময় সোচ্চার থাকবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড