• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মার্কিন মুল্লুকে বৈধতা পেতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে?

  জুবায়ের আহাম্মেদ

৩০ জুন ২০১৯, ২৩:২০
হুয়াওয়ে

মার্কিন নিরাপত্তা ইস্যুর বড় হুমকি হিসেবে ঘোষণা করার কয়েক মাস না যেতেই আবার মার্কিন বাজারে নিজেদের ফোন বিক্রির অনুমতি পেলো চীন ভিত্তিক ইলেক্ট্রনিক প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সম্প্রতি টোকিও তে অনুষ্ঠিত জি-২০ সামিটের এর পার্শ্ব আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন যেকোন প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কাছে নিজেদের যেকোন কাঁচামাল কিংবা যন্ত্রপাতি অবশ্যই বিক্রি করতে পারবে’। এ সম্পর্কে বিস্তারিত খোলাসা না করেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারো বলেন, ‘আমরা এখানে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির কথা বলছি যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক নিরাপত্তায় কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি সাধন করবেনা’। ট্রাম্পের এই বিবৃতি আদতে কোন স্পষ্ট ধারণা না দিলেও এখনই তাতে বেশ বড় প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের 'বিক্রয়যোগ্য' শব্দের জেরে অনেকেই ধারণা করছেন সম্ভবত গুগলকে হুয়াওয়ের কাছে কোয়ালকোম প্রসেসর কিংবা এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বিক্রি করার একটি পরোক্ষ বার্তাই যেন দিলেন তিনি।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি বলছি এতটা পর্যন্ত ঠিক আছে, আমরা আমাদের পণ্য বিক্রি করে যাবো। তবে সেটা শুধুমাত্র আমাদের আমেরিকান কোম্পানিগুলো যা তৈরি করছে। যদিও এই ব্যাপারটি বেশ জটিল। কিন্তু কথা হচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো যেন চলতে পারে, তাই আমি মার্কিন কোম্পানিদের নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য বিক্রির ব্যাপারে নির্দেশ দিচ্ছি’। ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যেমন ইন্টেল কিংবা লিনাক্স বিগত কয়েক মাস ধরেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সরকারী বিভিন্ন অধিদপ্তরে নিয়মিত লবিং করেছে কেবলমাত্র হুয়াওয়ের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া সংক্রান্ত এক অধ্যাদেশের বিষয়ে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যেকোন চুক্তির বিনিময়ে হলেও চীন হুয়াওয়ের উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে বদ্ধ পরিকর অবস্থায় রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এনটিটি বা নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকাভুক্ত জায়গায় হুয়াওয়ের অবস্থান নড়চড় হয়নি তবে চীন আশাবাদী শীঘ্রই এই অবস্থার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ট্রাম্প অবশ্য আগের মতেই স্থির থাকছেন।

‘আমাদের দেশের সাপেক্ষে হুয়াওয়ে বেশ কড়া নজরে আছে। এবং সতর্কতার দিক থেকেও আমরা কোন প্রকার ছাড় দিতে রাজি নই। আমরা হুয়াওয়ে সম্পর্কে অনেককিছুই জানি। কিন্তু এখনই আমরা তা বলতে রাজি নই। আমি মনে করি এটা একেবারেই অনুচিত হবে। আমরা এতে অতিরিক্ত কিছুই যোগ করে উপস্থাপন করব না। কিন্তু সবকিছু সময়ের অপেক্ষায় আমি রেখে দিচ্ছি’।

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি এর সাথে আমাদের বেশ চমৎকার একটি দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। আমি বলব খুবই চমৎকার। ঠিক যতটা ভাল আপনি আশা করতে পারেন তার পুরোটাই’। বিবিসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প এও জানিয়েছেন, ‘আমরা এসব ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা করেছি। এবং সঠিক পথেই সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে কি হয় সেটার অপেক্ষাইই আপাতত করছি আমরা’।

ট্রাম্পের মত এই অপেক্ষা হয়ত কেবল দুই দেশের না। বরং পুরো বিশ্বের আরো অনেকেরই। যদিও ইতিমধ্যে স্যামসাংকে হটিয়ে ফাইভ জি পেটেন্ট অ্যাপলের মাধ্যমে কেবলই নিজেদের করে নেয়া, মিত্র রাষ্ট্রদের হুয়াওয়ে সম্পর্কে সতর্কতা প্রদান এবং নিত্য নতুন শর্তের মাধ্যমে হুয়াওয়েকে বেশ এক বাজে অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু নিজেই কি আবার পথ দেখাবেন হুয়াওয়ে কে? ট্রাম্পের বেখেয়ালি মনের মাঝে কি চলছে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা আপাতত এখনই শেষ হচ্ছে না।

তথ্যসূত্র: এন্ড্রয়েড অথোরিটি ডট কম

ওডি/এএন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড