অধিকার ডেস্ক ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:০২
প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুন ডজনখানেক ইমোজি চালু করায় তাকে স্বাগত জানিয়েছে প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা।
হিয়ারিং এইড লাগানো কান, হুইলচেয়ার, কৃত্রিম অঙ্গ, গাইড কুকুর এসবের মতো আরও বেশ কটি নতুন ইমোজির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বিবিসি বাংলায়।
২০১৯ সালের আনুষ্ঠানিক তালিকায় এসব ইমোজির অন্তর্ভূক্তি মানে হলো এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধ নাগাদ অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারী তাদের ব্যবহারের সুযোগ পেতে যাচ্ছে।
প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে এমন দাতব্য সংস্থা স্কোপ এর কর্মকর্তা ফিল টালবট বলেন, "সামাজিক মাধ্যম অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুন এসব ইমোজির বিষয়টি দারুণ"।
তিনি মনে করেন, "এতদিন পর্যন্ত প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি ব্যাপকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে"। তিনি আরো বলেন, "আমরা গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের সকল ক্ষেত্রে অক্ষমতা এবং প্রতিবন্ধী মানুষদের আরো বড় পরিসরে প্রতিনিধিত্ব দেখতে চাই"
সর্বমোট ২৩০টি নতুন ইমোজি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে।
কম্পিউটার প্রস্তুতকারক, সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক একটি গ্রুপ দ্বারা বিষয়টি পরিচালিত হচ্ছে, যারা নিশ্চিত করে যে বিভিন্ন ডিভাইস এবং অ্যাপস এর ব্যবহারকারীরা যেন একে অপরকে ইমোজি পাঠাতে পারে।
অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট, স্যামসাং, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ইউনিকোডের ডিজাইনগুলো তাদের নিজেদের পছন্দমত নিয়ে নিতে পারবে কিন্তু প্রতিটি পণ্যের বৈশিষ্ট্য একটি অন্যটির থেকে আলাদা হতে হবে।
নারী এবং পুরুষের ছবিসহ ইমোজি রয়েছে যেখানে তাদের হাতের একটি আঙ্গুল তাদের মুখ ও কানের বরাবর নড়তে দেখা যায় যেটিকে আমেরিকান সাইন ল্যাংগুয়েজে বধিরদের চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে অ্যাপল কোম্পানি আমেরিকার অন্ধ এবং বধিরদের জাতীয় সংস্থার সাথে পরামর্শ করে ১৩টি অঙ্কনচিত্র জমা দিয়েছিল যার ওপর ভিত্তি করে এসব ইমোজি তৈরি করা হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীত্বের শিকার মানুষদের প্রতিনিধিত্বের জন্য নতুন নতুন ইমোজি তৈরির জন্য গত বছর অ্যাপলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়ার পর ইউনিকোড ঘোষণা দিয়েছিল যে, প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুন ইমোজি আনা হবে। সারাবিশ্বে প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন মানুষ কোন না কোন প্রতিবন্ধীত্বের শিকার বলে ধরে নেয়া হয়।
ঋতুস্রাবের ইমোজি
এই ইমোজি ভাণ্ডারের উল্লেখযোগ্য আরেকটি সংযোজন হচ্ছে- এক ফোঁটা রক্তচিহ্ন যার মধ্য দিয়ে ঋতুস্রাব বোঝানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মেয়েদের আলোচনার পথ সুগম করা হচ্ছে।
পিরিয়ড কালীন ইমোজি কি হতে পারে সে সম্পর্কে মেয়েদের অধিকার বিষয়ক দাতব্য সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে ২০১৭ সালে অনলাইনে ভোট নেয়। সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছিল রক্তমাথা একজোড়া প্যান্ট কিন্তু ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম থেকে তা প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং তারা একফোঁটা রক্তচিহ্নকে প্রতীকী হিসেবে বেছে নেয়।
এই সংস্থাটির গার্লস রাইট বিভাগের প্রধান লুসি রাসেল বলেন, বছরের পর বছর ধরে পিরিয়ড বিষয়ে আমরা নিশ্চুপ এবং নিরুত্তাপ ছিলাম।
তার মতে, কোন একটি ইমোজি এই সমস্যা দূর করতে পারবে না কিন্তু এটি আলাপ আলোচনাকে বদলাতে সাহায্য করতে পারে। ঋতুস্রাবকে ঘিরে আওয়াজ তোলার মধ্য দিয়ে এই বিষয়ে লজ্জার অবসান ঘটাতে হবে- এই তাগিদ থেকেই এই ইমোজির সংযোজন।
অন্যান্য যেসব নতুন ইমোজি যুক্ত হলো:
•শাড়ি
•ব্যালে সু
•রিকশা
• মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ ধরনের খাবার ইত্যাদি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড