• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

২০১৮ সালের বিজ্ঞান জগৎ : ছোট বড় যত আবিষ্কার

  জুবায়ের আহাম্মেদ

২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:২০
বিজ্ঞান
২০১৮ সালে বিজ্ঞান জগতে ছোট বড় যত আবিষ্কার (ছবি: ইন্টারনেট)

২০১৮ সালের প্রায় শেষ সময়। আর দুই একদিন পরেই বিদায় নেবে বহুল আলোচিত একটি বছর। কিন্তু হারিয়ে যাবে কি? যারা অন্তত বিজ্ঞানের সাথে ছিলেন, প্রযুক্তির সাথে ছিলেন কিংবা আশ্চর্য পৃথিবীর সন্ধানে ছিলেন তাদের কাছে ২০১৮ এখনই শেষ হচ্ছে না কোনোভাবেই। অনেক কিছুর জন্ম দেওয়া এই বছরে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার, সবচেয়ে ক্ষুদ্র আবিষ্কার, সবচেয়ে সুন্দর আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিভিন্ন আবিষ্কার নিয়ে তারা পার করে দিতে পারেন আরও বেশ কটা দিন।

এ বছরের বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য কিছু আবিষ্কার দেখে নিতে পারেন এক নজরে:

১। আবিষ্কারে যা কিছু বড়

বিশ্বের সবচেয়ে বড় 'ডেড জোন' বা মৃত অঞ্চল

১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ছিলেন আরব সাগরেই আছে পৃথিবীর অন্যতম ভয়াবহ 'ডেড জোন'। ডেড জোন বা মৃত অঞ্চল বলতে আমরা বুঝি যেখানে জীবের অস্তিত্ব একেবারেই অসম্ভবের কাছাকাছি। আরব সাগরে এত বেশি শ্যাওলা এবং সামুদ্রিক আগাছা আছে যার কারণে অন্য কোনো প্রাণির সেখানে টিকে থাকা অসম্ভবের কাছাকাছি।

ডেড জোন

আরব সাগরেই রয়েছে 'ডেড জোন'

আবিষ্কারের দুই দশক পর ২০১৮ সালে বিজ্ঞানীরা ঘোষণা দিয়েছেন এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডেড জোন। প্রতি বছর শেষে এর আয়তন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে এর আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সমান। এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা আজও চলমান আছে।

মহাকাশ থেকে সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইটের পতন

এপ্রিলে প্রশান্ত মহাসাগরের নির্জন স্থানে মহাকাশ থেকে ছিটকে পড়েছিল স্যাটেলাইট টিয়ানগন -১। এটি ছিল এ যাবৎকালে মহাকাশ থেকে ছিটকে পড়া সবচেয়ে বড় এবং ভারী স্যাটেলাইট।

স্যাটেলাইট

স্যাটেলাইট টিয়ানগন -১

তবে মানুষ নির্মিত সবচেয়ে বড় স্থাপনা ছিটকে যাবার রেকর্ড এখনও রাশিয়ান স্পেস স্টেশন 'মির' এর কাছেই রয়েছে। ২০০১ সালে মহাকাশ থেকে ছিটকে পড়ার সময় মির এর ভর ছিল ১৩২ টন। সে তুলনায় স্যাটেলাইট টিয়ানটন ছিল নেহাত শিশু। টিয়ানটনের ভর ছিল মাত্র ৯ দশমিক ৪ টন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাখি

পাখিকে ধরা হয় আদ্যিকালের ডাইনোসরের বংশধর। তাই বলে একটি পাখির ভর ১৭৬০ পাউন্ড বা ৮০০ কিলোগ্রাম! বাড়াবাড়িই বটে। ২০১৮ সালেই সন্ধান মিলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাখিটির। অবশ্য জীবন্ত নয়। মিলেছে পাখির ফসিল। প্রাপ্ত ফসিল অনুযায়ী পাখিটির পায়ের পাতাই কেবল ৯ দশমিক ৮ ফিট বা ৩ মিটার। মাদাগাস্কার দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া এই পাখির নামকরণ করা হয়েছে ভুরুম্বে টাইটান।

পাখি

ভুরুম্বে টাইটান (প্রতীকী)

মাদাগাস্কারের স্থানীয় ভাষায় ভুরুম্বে অর্থ বড় পাখি। এই গোত্র নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা ফলাফল আজও চলছে।

২। আবিষ্কারে যা ছোট

সবচেয়ে ছোট বানর

বড় থেকে এবার বরং ছোট কিছুতে নজর দেওয়া যাক। ২০০৪ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে পাওয়া এক ফসিল অনুযায়ী এই বছর আবিষ্কার করা হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট বানর গোত্রের। প্রায় ১২ দশমকি ৫ মিলিয়ন বছর আগের এক ফসিল নিয়ে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় গবেষণা করে এই ফলাফল প্রকাশ করেন তারা।

বানর

প্রায় ১২ দশমিক ৫ মিলিয়ন বছর আগের সবচেয়ে ছোট বানরের ফসিল পাওয়া যায় (ছবি: প্রতীকী)

এই দীর্ঘ গবেষণা থেকে গবেষকরা জানান বানরের এই গোত্র আগের বা বর্তমানের কোনো গোত্রের সাথে কোনোরকম সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অর্থাৎ এটি একেবারেই আলাদা একটি গোত্র। এইজন্য বিজ্ঞানীরা অবশ্য দায় চাপাচ্ছেন প্রকৃতির ওপরেই। প্রাকৃতিক কারণেই এই আলাদা গোত্রের বানরের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটেনি বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সবচেয়ে ছোট প্রাণী সাগরের 'শুঁড়ওয়ালা শামুক'

যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই... সাগরের আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়েই আবিষ্কৃত হলো বছরের সবচেয়ে ছোট প্রাণির। সম্ভবত সাগরের সবচেয়ে ছোট আবিষ্কারই এটি।

শামুক

শুঁড়ওয়ালা শামুক

চলতি বছর হাওয়াইতে কালোকো হোনোকোহাও জাতীয় উদ্যানের পাশে পাওয়া যায় একেবারেই ক্ষুদ্র এক সেফালোফোড। বাংলায় যাকে শুঁড়ওয়ালা শামুক বলা যেতে পারে। অক্টোপাস গোত্রের হিসেবে এটি এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সবচেয়ে ছোট প্রাণী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড