• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শারদ ও বাসন্ত বিষুবে দিন-রাত সমান আজ

  অধিকার ডেস্ক    ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৩৭

২৩ সেপ্টেম্বর
২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে দিন-রাতের দৈর্ঘ্য সমান (ছবি : ওয়েবসাইট)

আজ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮। সোমবার। আজকের দিনটি উত্তর গোলার্ধে শারদ বিষুব আর দক্ষিণ গোলার্ধে বাসন্ত বিষুব। অর্থাৎ আজকের তারিখটার দিন এবং রাতের দৈর্ঘ্য সমান। উভয় সময়ই ১২ ঘন্টা করে।

শারদ বিষুব শব্দটির ইংরেজি হলো Autumnal EquinoxÕ| Equionx। শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, যার অর্থ সমান রাত্রি।

কেন এমন হয়?

পৃথিবী পুরো বছর তার নিজ অক্ষের ওপর একটু কাত হয়ে ঘুরতে থাকে। যার কারণে সূর্যের আলো সমানভাবে বণ্টন হয় না এবং দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যে তারতম্য এবং ঋতুবৈচিত্র্য দেখা যায়। পুরো বছর নিজ অক্ষের উপর ঘুরলেও বছরে এমন দুইটি দিন আসে যখন পৃথিবী তার অক্ষের ওপরে একেবারে সোজা হয়ে যায়। এমন অবস্থায় সূর্যরশ্মি বিষুবরেখার ওপরে লম্বভাবে এসে পড়ে এবং দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়।

সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ এবং মার্চের ২০ তারিখ সূর্য আকাশের ঠিক পূর্ব দিক থেকে ওঠে এবং ঠিক পশ্চিম বরাবর অস্ত যায়। কিন্তু বছরের অন্যান্য সময়ে তার একটু হলেও তারতম্য হয়। সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ উত্তর গোলার্ধে হয় শারদ বিষুব এবং দক্ষিণ গোলার্ধে হয় বাসন্ত বিষুব। আবার মার্চের ২০ তারিখ হল ঠিক তার বিপরীত অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে বাসন্ত বিষুব এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শারদ বিষুব। শারদ বিষুবের পর থেকে দিনের দৈর্ঘ্য কমে গিয়ে রাতের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেতে থাকে।

২৩ তারিখকেই শারদ বিষুব হিসেবে ভাবা হলেও ঠিক ২৩ তারিখেই যে এটি সংঘটিত হবে তা কিন্তু নির্দিষ্ট নয়। সারাবিশ্বে ২৩ তারিখ ধরা হলেও এটি ২২, ২৩ এমনকি ২৪ তারিখেও সংঘটিত হতে পারে। এর কারণ হলো প্রতি বছরই সূর্যের অবস্থানের একটু তারতম্য হয় এবং এই সময়টি এদিক ওদিক হয়ে যেতে পারে।

শরতের শেষ দিনটিকেই জানা হয় শারদ বিষুব হিসেবে। এরপর হেমন্ত আসে এবং একটু একটু করে শীত অনুভব হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিতে এই শারদ বিষুবের রয়েছে বিশেষ মর্যাদা।

ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকান ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন ছিল এটি।

জাপানে এই দিনটিকে বলা হয় ‘শুবুন নো হি’ এবং এটিকে জাতীয় ছুটির দিন বলা হয়।

গ্রিক মিথলজি অনুযায়ী এটি হলো সেই দিন যখন দেবী পার্সিফোনি পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে তার স্বামী হেডিসের কাছে পাতালপুরিতে ফেরত যায়। এ সময়ে তারা নিরাপত্তা এবং গতবছরের সাফল্য এবং ব্যর্থতা নিয়ে প্রার্থনা করতো।

শারদ বিষুবের সময়ে চীনে ‘মধ্য-শরৎ’ উৎসব বা ‘চাঁদ উৎসব’ পালন করা হয়। গ্রীষ্মের ফসল হলো এই উৎসবের মূল কারণ এবং এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ‘মুন কেক’ বা ‘চাঁদের পিঠা’।

শুধুমাত্র পৃথিবী নয়, অন্যান্য গ্রহেও শারদ এবং বাসন্ত বিষুব দেখা যায়। তবে অন্য গ্রহে যেহেতু প্রাণের অস্তিত্ব নেই তাই ঋতুগুলোকে সেভাবে আলাদা করে বোঝা যায় না।

নিজের অক্ষের ওপর একটু কাত হয় ঘুরছে এমন যে কোনও ধরনের গ্রহেই বিষুব ঘটে। সবচাইতে দর্শনীয় বিষুব হলো শনি গ্রহের বিষুব। এ সময়ে শনির বলয় একপ্রকার অদৃশ্য হয়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড