ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় এই মর্মে প্রশ্ন প্রেরণ করা হয় যে, ‘দূর্গাপূজা উপলক্ষে কি আমরা শুভেচ্ছা জানাতে পারবো? পূজায় চাঁদা দিতে পারবো? অমুসলিমদের এসব উৎসবে অংশগ্রহণ করা এবং তাদের প্রসাদ খাওয়া কি আমাদের জন্য জায়েয হবে?’
জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ থেকে বলা হয়, “অমুসলিমদের অনুষ্ঠান ও উৎসবগুলো তাদের শিরকযুক্ত আকিদা-বিশ্বাসের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। তাই আমাদের জন্য জরুরি হলো, মুশরিকের সাথে সম্পর্কহীনতার প্রকাশ করা। আর যেহেতু শুভেচ্ছা জানালে তাদের চিন্তা-চেতনা ও আকিদার সমর্থন হয় সেহেতু এর থেকে বিরত থাকা আমাদের জন্য আবশ্যক। অনেক সময় এটা ঈমান চলে যাওয়ার কারণও হতে পারে।” [দেওবন্দের অফিশিয়াল সাইটে প্রকাশিত, ফতোয়া নং ১৪৫৬৪৯]
১৫৫২৬৪ নং ফতোয়ায় বলা হয়, পূজা হিন্দুদের একটি বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাদের প্রোগ্রামে চাঁদা দেয়া কুফর, শিরক এবং নাজায়েয কাজে সাহায্য করার নামান্তর। এটা কুরআনের আলোকে সম্পূর্ণ নাজায়েয। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ. ‘আর তোমরা গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সাহায্য করো না।’ [সুরা মায়িদা : ২]
এছাড়াও ৬২৪৬৪ ও ৬৩৯৫০ নং ফতোয়ায় বলা হয়, “হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাও হারাম। পরস্পর সম্পর্কের ভিত্তিতে হোক অথবা চাপে পড়ে; কোনো অবস্থাতেই যাওয়া জায়েয নয়। ঘুরেফিরে দেখার জন্যও যাওয়া যাবে না। কুরআনে পাকের হুকুম,
وَلَا تَرْكَنُوا إِلَى الَّذِينَ ظَلَمُوا فَتَمَسَّكُمُ النَّار. ‘আর পাপিষ্ঠদের (কাফিরদের) প্রতি ঝুঁকবে না। নতুবা তোমাদেরও জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে।’ [সুরা হুদ : ১১৩]
তাদের প্রতি সামান্য ঝুঁকলে এবং তাদের সাথে সাদৃশ্য রাখলেই যদি জাহান্নামে যাওয়ার শঙ্কা থাকে, তাহলে তাদের কুফরি ও শিরকি উৎসবে অংশগ্রহণ করা তো আরও মারাত্মক হবে। তেমনিভাবে তাদের অনুষ্ঠানে দেব-দেবী এবং ভূত-প্রেতের নামে যেসব মিষ্টি ও প্রসাদ উৎসর্গিত করা হয়, সেগুলোও খাওয়া জায়েয নয়।”
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড