সাইফুল্লাহ আল-মাহমুদ
যারা সচ্ছল অবস্থায় শান্তিতে আছেন, তারা যেন কঠিন পেরেশানি, বড় বিপদ, বড় ঋণের বোঝা, অলসতা, অক্ষমতা ও কাপুরুষতার স্বীকার না হন, সেই জন্য নিয়মিত এই দুয়া পড়া উচিত। আর যারা এগুলোর শিকার হয়েছেন তারাও নিয়মিত এই দুয়া পড়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আ’জযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দ্বালাইদ-দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুঃশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অলসতা ও অক্ষমতা থেকে, কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে, ঋণের বোঝা ও মানুষের নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে।’ [বুখারি, আসসাহিহ : ২৮৯৩]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এ দুআটি বেশি বেশি করে পড়তেন।
পাহাড় পরিমাণ ঋণ থেকেও মুক্তি লাভের দুয়া
আলি (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। একজন মুকাতিব (লিখিত চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কৃতদাস) তাঁর নিকট এসে নিবেদন করল, আমি আমার নির্ধারিত অর্থ দিতে অপারগ, অতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন। আলি (রা.) বললেন—‘তোমাকে কি আমি এমন দুয়া শিখিয়ে দিব না, যা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর পাহাড় সমপরিমাণ ঋণও থাকে, তাহলেও আল্লাহ তায়ালা তোমার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে দেবেন। তুমি এই দুয়া পড়ো—
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা আ’ন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাযলিকা আ’ম্মান সিওয়া-ক।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হালাল বস্তু দ্বারা সন্তুষ্ট করে হারাম বস্তু থেকে ফিরিয়ে রাখুন। আর আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে আপনি ছাড়া অন্য সকলের কাছ থেকে অমুখাপেক্ষী রাখুন।’ [তিরমিযি, আসসুনান : ৩৫৬৩]
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড