• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সুরা হুমাযাহ : পুঁজিবাদী সমাজের বাস্তব চিত্র

  ধর্ম ডেস্ক

২৪ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৪৮
Mony_odhikar

ইমাম কুরতুবি রাহিমাহুল্লাহ’র মতে এই সুরাটি সকলের ঐক্যমতে মাক্কি সুরা। ইমাম বাগাভির মতেও এটি মাক্কি। অনেকের মতে এই সুরাটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। যেমন- অনেকে বলেছেন আখরাস ইবনু মাশরুক ইবনু ওয়াহহাব, কেউ বলেছেন উমাইয়্যা ইবনু খালাফ, আবার কারো মতে ওয়ালিদ ইবনু মুগিরাহকে কেন্দ্র করেই এই সুরা নাযিল হয়েছে। কিন্তু মুজাহিদ রাহিমাহুল্লাহ’র মতে সুরাটি আম বা সাধারণ, যার মধ্যেই সুরায় বর্ণিত গুণাবলি পাওয়া যাবে সে-ই এই সুরার প্রতিপাদ্য। [তাফসির বাগাভি]

আয়াত : ১

وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ ‘ধ্বংস এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে (সামনা সামনি) লোকদের ধিক্কার দেয় এবং (পেছনে ) নিন্দা করতে অভ্যস্ত।’

এই আয়াতে ব্যবহৃত ওয়াইল শব্দের অর্থ শাস্তির প্রতিশ্রুতি, কষ্ট, দুঃখ, শাস্তির প্রচণ্ডতা, শাস্তির লাঞ্ছনা ও ধ্বংস, জাহান্নামের একটি উপত্যকা ইত্যাদি। [তাফসিরে সা’দি, কুরতুবি] হুমাযাহ শব্দটি হামাযাহ ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ দাঁড়ায় নিন্দা করা, কটাক্ষ করা, চোখের ইশারায় কটাক্ষ করা, নিন্দা করা ইত্যাদি। আর লুমাযাহ শব্দটি লামাযাহ থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ দাঁড়ায় কথার বাণে জর্জরিত করা, কোনো বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা, নিন্দা করা ইত্যাদি। [মু’জামুল ওয়াফি, Hens Wehr, Al-Mawrid, মিসবাহুল লুগাত]

এই দুটি শব্দের অর্থ প্রায় কাছাকাছি হলেও কিছু সূক্ষ্ম ব্যবধানের কারণে মুফাসসিররা অর্থ নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতভেদ করেছেন। কেউ বলেছেন হাত ও মুখ দ্বারা কষ্ট দেওয়া হুমাযাহ, আর জিহ্বা দিয়ে কষ্ট দেওয়া লুমাযাহ। আবার কেউ বলেছেন সামনে পরনিন্দা করে কষ্ট দেওয়া হুমাযাহ আর পেছনে পেছনে নিন্দা করে কষ্ট দেওয়া লুমাযা। আবার কেউ কেউ সামনে নিন্দা করাকে লুমাযাহ আর পেছনে পেছনে নিন্দা করাকে হুমাযাহ বলেছেন। ইবনু আব্বাসকে কেউ একজন জিজ্ঞেস করেন যে, সে ব্যক্তি কারা যাদের কথা আল্লাহ শুরুই করেছেন ওয়াইলের নাম দিয়ে? তখন তিনি উত্তর দেন, ‘তারা হলো মানুষের নিন্দা বলে বেড়ানো লোকেরা, ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ লোকদের মাঝে ফাটল ধরানো লোকেরা।’ [ইবনু কাসির, বাগাভি, তাবারি]

তবে মৌলিক অর্থ যা দাঁড়ায় তা হলো প্রকাশ্যে ও গোপনে, হাত দিয়ে, মুখ দিয়ে, চোখের ইশারা দিয়ে, ইঙ্গিত করে, কথা ও কাজ দিয়ে, বংশ নিয়ে, দরিদ্রতা নিয়ে, অহংকার করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া সকল কিছুই এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। [তাফহিমুল কুরআন, তাফসির সা’দি দ্রষ্টব্য]

আয়াত : ২

الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ ‘যে অর্থ জমায় এবং তা গুণে গুণে রাখে৷’

এই আয়াতটির পঠনের ক্ষেত্রে জামায়া (جَمَعَ) শব্দটিকে অনেকে জাম্মায়া পড়েছেন। যাদের মধ্যে ইবনু আম্মার, আবু জা’ফর, হামযাহ ও কিসাঈ উল্লেখযোগ্য। তবে সবাই একমত যে (عَدَّدَهُ) আদ্দাদাহ-ই হবে। অর্থাৎ, এ স্থলে দালের উপর তাশদিদের ব্যাপারে সবাই একমত। কেউ কেউ আদাদাহ বলেছেন। কিন্তু ইমাম তাবারি সেই বর্ণনাকে অনির্ভরযোগ্য বলেছেন। [তাবারি, বাগাবি] দ্বিতীয় আয়াতটিতে আল্লাহ তায়ালা ওপরের হুমাযাহ ও লুমাযাহদের সিফাত বা গুণাবলি বর্ণনা করছেন। আল্লাহ বলছেন, তারা হলো এমন ব্যক্তি যারা তাদের মাল-সম্পদ জমা করে, একত্রিত করে আর গুণে বেড়ায়।

ধরুন, আপনি ঈদের আগের রাতে—যাকে চাঁদ রাত বলা হয় আমাদের এখানে—একটা জামা কিনে আনলেন। জামাটার স্টাইল, ডিজাইন, রঙ সবকিছুই আপনার দারুন পছন্দ হয়েছে। আপনি মাঝেই মাঝেই জামাটা ড্রয়ার থেকে খুলে খুলে একটু দেখেন। ভাবতে থাকেন জামাটা পরে আপনি বের হবেন, আপনাকে দেখতে অন্য সবার থেকে সুন্দর লাগবে, একটু ইউনিক লাগবে। কারণ, আপনি আপনার জামাকে ভালোবাসেন, তাই আপনি অন্তরে অন্তরেও এর স্মরণ করেন। কারণ, জামাটির সাথে আপনার অন্তরের একটু গভীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে গিয়েছে। এখন আপনি ইচ্ছে করলেও আর এর থেকে দূরে সরে আসতে পারে না। তেমনি যারা বস্তুবাদী, পুঁজিবাদী, তারা নিজেদের টাকা-পয়সা-ধন-সম্পদকে দারুণ ভালোবাসে। তারা দিনের পর দিন টাকা জমায়, জমাতেই থাকে। আর সেই জমানো টাকা সুযোগ পেলেই একটু একটু গুণতে থাকে, গোণার সময় টাকার ঘ্রাণ শোঁকে। কারণ সেও তার অর্থ-মালকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। যা বর্তমানকালের পুঁজিবাদের হাল। তারা টাকা পুঞ্জিভূত করতে নিজেরা যেমন অভ্যস্ত তেমনি তাদের দোসরদের মাধ্যমে তারা এমন এক অবস্থা তৈরি করেছে যাতে গোটা মানবজাতিই অর্থের পুঁজি করার দিকে ঝোঁকে। অবশ্য আমরা যদি আয়াতে ব্যবহৃত ‘মাল’ শব্দটিকে আরো একটু বিস্তৃত করি তবে শুধু টাকা-পয়সা-অর্থকড়িতেই মালকে সীমাবদ্ধ পাবো না। বরং এই অর্থের বাহ্যিক প্রকাশ পায় এমন সকল কিছুই মাল হবে। হতে পারে অর্থ ব্যয় করে কেনা ফ্ল্যাট, ইয়া বড় বাংলো, সুরম্য গাড়ি, মনকাড়া সুইমিং পুল সবই। আসলে সে তার পুঁজি করা অর্থের বাহ্যিক রূপ দেখতে ভালোবাসে। আর তাই-ই সে অর্থ পুঁজি করে তার খাহেশাত মেটায়। সকল অবস্থাতেই তা পুঁজিবাদেরই ভিন্ন ভিন্ন রূপ। তবে সকল অবস্থাতেই সেই ব্যক্তির অন্তরের বেদীতে সিজদা পাচ্ছে অর্থ-সম্পদই।

পুঁজি আর পুঁজিবাদী সভ্যতা হলো নয়া যুগের ফেরাউন। একজন আলিম খুব সুন্দর বলেছেন ‘আগে লক্ষ্মীর পূজা করা হত অর্থের জন্য, এখন মানুষ বলে ওই লক্ষ্মীকে হটাও, সিধা মালকেই পূজা করতে শুরু করো।’ সে তার অর্থ থেকে শারিরিকভাবে দূরে থাকলেও সে অন্তরে অন্তরে অর্থকড়িকে গোণে, সে এতেই সুখ পায়। কারণ, অর্থের সাথে তার আত্মার সম্পর্ক হয়ে গেছে। এই অর্থের সাথে আত্মার সম্পর্ক হওয়ার কারণে সে অন্যদেরকে নিয়ে নিন্দা করে, অন্যদের কটাক্ষ করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যতার ভাব দেখায়, হোক মুখ, চোখের ইশারা বা হাত দিয়ে।

আয়াত : ৩

يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ ‘সে মনে করে, তার অর্থ-সম্পদ তাকে অমর করবে৷’

এর অর্থ ‘সে মনে করে সম্পদ তাকে চিরস্থায়ী করে রাখবে’ এরকমও হতে পারে। এই অর্থে এই আয়াতটি বড়ই আশ্চর্যজনক। বর্তমান যুগের পুঁজিবাদীরা ঠিক একই রকম ভাবে যে, তাদের সম্পদের প্রাচুর্য তাদেরকে চিরন্তন জীবন এনে দিবে, তাদেরকে লা-ফানাইয়্যাতের (অবিনশ্বরতা) পথ দেখাবে, তারা এর মাধ্যমেই মানুষের কল্যাণ করবে, আর অমর হয়ে থাকবে। তারা তাদের অন্তরের অমরত্বের ইচ্ছাকে পুঁজির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চায়। আর মানুষের মাঝে থাকা লোভ, হিংসা আর নষ্ট প্রতিযোগিতার মানসিকতাকে মিডিয়া আর লাখো পণ্যের বাহার প্রতিনিয়ত বাড়িয়েই যাচ্ছে। আগুণে ঘি ঢালা যাকে বলে আর কি! আল্লাহ কত সংক্ষেপে বর্তমানকালের পুঁজিবাদের দর্শনকে বাতলে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! (পুঁজিবাদের দার্শনিক তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত পড়ুন ‘অবিশ্বাসের বিভ্রাট’ বইতে। বইটি মিনারাহ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত।)

আসলে তারা বস্তুবাদী। তারা তাদের অর্থের জোরেই টিকে থাকতে চায়। পৃথিবীতে দীর্ঘ জীবনের বৃথা আশা করে। তারা অন্তরের প্রভূত্বের স্থানে যখন অর্থকে স্থান দিয়েছে তখন স্বাভাবিক একে যত পারবে জমাবে আর একে বারবার গননার মাধ্যমে দাসত্বকে নবায়ন করতে থাকবে। তারা চাইবে না মৃত্যু এসে তাদের সাজানো গোছানো টাকার পাহাড়কে ধুলোয় মিশিয়ে দিক। তার পরিপাটি সংসারকে ভেঙে তছনছ করে দিক। সে অর্থের শরাব পিয়ে মাদহুশ হয়ে থাকে। অচেতন হয়ে পড়ে থাকে। দৌলতের নেশার ভূত তার মাথায় চেপে ঘাড় মটকে দেয়। সে সম্পদ পুঞ্জীভূত করতে করতেই দিন কাবার করে দেয়। আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না। কৃপণতা করে। ভাবে, কৃপণতা তাকে দুনিয়াতে স্থায়ী করবে। যত সম্পদ হাতে ধরে রাখা যায় ততই না ভালো। কিন্তু সে যদি জানত যে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করলেই হায়াত বৃদ্ধি পায়, সম্পদে বারাকাহ আসে। কৃপণতায় সম্পদ কমে, বাড়ে না। কিন্তু নিজের অজ্ঞতাপূর্ণ ভ্রমের কারণে সে বাস্তবতা থেকে দূরে থাকে। সে ভুলে যায় এই সবকিছু ছেড়ে একদিন তাকে চলে যেতে হবে। রওয়ানা হতে হবে আখিরাতের পথে। যতই সে নিজেকে অমর আর স্থায়ী ভাবার চেষ্টা চালাক না কেন তাকে একদিন অবশ্যই মৃত্যুর করাল গ্রাসে পড়তেই হবে। ‘আল মাওত লাইসা মিনহুল ফাওত’ মৃত্যু তাকে ছেড়ে কোনোমতেই যাবে না। কখনোই না। ‘সম্পদ খাবে লোকে, দেহ খাবে পোকে।’

আয়াত : ৪

كَلَّا ۖ لَيُنبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ ‘কখনও নয়, তাকে তো চূর্ণ-বিচূর্ণকারী জায়গায় ফেলে দেয়া হবে৷’

এখানে আল্লাহ তায়ালা বলছেন তাকে অবশ্যই ছুঁড়ে ফেলা হবে, নিক্ষেপ করা হবে হুতামাতে। এখানে ‘নাবয’ শব্দটি ব্যবহার হয়েছে। যার অর্থ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের সাথে নিক্ষেপ করা। হাসান বসরি, মুহাম্মাদ ইবনু কা’ব, নাসর ইবনু আসিম, মুজাহিদ ও হামিদ ইবনু মুহাইসিন থেকে বর্ণিত তারা এই আয়াতের পরিচিত পাঠ ব্যতিরেকে ‘লা ইয়ুমবাযাআন্না ফিল হুতামাহ’ অর্থাৎ, দ্বিবচন ব্যবহার করে পড়তেন। যার দ্বারা বুঝায় মালকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। [তাফসির তাবারি ও কুরতুবি]

হুতামাহ ‘হাতামা’ শব্দ থেকে আগত, যার অর্থ ভেঙে ফেলা, টুকরো টুকরো করে ফেলা, পিষে ফেলা। এর নামকরণের হিকমত হচ্ছে, এর ভিতরে যাকেই নিক্ষেপ করা হয় তাকেই সে পিষে ফেলে, হাড়হাড্ডি ভেঙে ফেলে, গুঁড়িয়ে দেয়। [তাফসির তাবারি, বাগাভি, কুরতুবি] সে চিরজীবন মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে, খোঁটা দিয়েছে, বংশ নিয়ে কটাক্ষ করেছে, অর্থের গর্বে উন্মাদ হয়েছে, মনে হয়েছে তার মাথা যেন মেঘকে ছুঁয়ে যায়। কিন্তু শেষমেষ তার স্থান সেই জাহান্নামেই হলো। যেই অর্থের অহংকারের চোটে তার পা মাটিতে পড়ত না সেই মালসুদ্ধ তাকে জাহান্নামে ফেলে দেওয়া হবে।

আয়াত : ৫

وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ ‘আর তুমি কি জানো সেই চূর্ণ-বিচূর্ণকারী জায়গাটি কি?’

আল্লাহ এখানে রাসুলুল্লাহকে সেই হুতামার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করার জন্যে প্রশ্ন করেছেন। যদিও আল্লাহ সকল উদাহরণের উর্ধ্বে, তবুও বলি—যখন ছোটদের কেউ গল্প শুনায় তখন মাঝে ছোটদের অজ্ঞাত বিষয়েও প্রশ্ন করে, যাতে ছোট সোনামনিদের দৃষ্টি আরেকটু বেশি আকর্ষণ করা যায়, তাদেরকে গল্পে আরো বেশি এংগেইজড করা যায়। সেরকম কিছুই হতে পারে। এটা কুরআনের সৌন্দর্য।

আয়াত : ৬

نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ ‘(তা হচ্ছে) আল্লাহর আগুন, প্রচণ্ডভাবে উৎক্ষিপ্ত।’

এই আয়াতে আল্লাহ জাহান্নামের আগুনকে নিজের দিকে সম্পর্কিত করে আল্লাহর আগুন বলেছেন, যেরকমটা কুরআনে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এর দ্বারা আগুনের ভয়াবহতা, উদগ্রতা বুঝানো উদ্দেশ্য হতে পারে।

আয়াত : ৭

الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ ‘যা হৃদয় অভ্যন্তরে পৌঁছে যাবে৷’

ইত্তিলা অর্থ চড়া, আরোহণ করা, পৌছে যাওয়া ইত্যাদি। আফয়িদা ফুয়াদ শব্দের বহুবচন। যার অর্থ হৃদয়। হৃদয় পর্যন্ত পৌছে যাবে মানে শরীরের সকল অংশ ও অন্তর সকলটুকুই আগুন গ্রাস করবে। [তাফসিরে সা’দি] হৃদয়কে উল্লেখ করার কারণ হতে পারে যে, হৃদয়ই মানুষের নিয়ত, ইচ্ছা, বিশ্বাস, আকিদার—বদ ও ভালো নির্বিশেষে—স্থান। তাছাড়া আরো হতে পারে যে, তা মানুষের অন্তরে পৌছে অন্তরে থাকা পাপাচার অনুযায়ী শাস্তি দেবে। [কুরতুবি]

আয়াত : ৮

إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ ‘তা তাদের উপর ঢেকে দিয়ে বন্ধ করা হবে।’

অর্থাৎ, জাহান্নামের দরজা পূর্ণাঙ্গভাবে এঁটে দেওয়া হবে, বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আয়াত : ৯

فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ ‘(এমন অবস্থায় যে তা) উঁচু উঁচু থামে (ঘেরাও হয়ে থাকবে)৷’

এর বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে তাতে বড় বড় থাম গেঁড়ে দেওয়া হবে। অথবা জাহান্নামিদের থামের সাথে বেঁধে শাস্তি দেওয়া হবে। অথবা তাদেরকে এই থাম দিয়েই শাস্তি দেওয়া হবে।

লেখক : হোসাইন শাকিল একাধিক বেস্ট সেলার বইয়ের সহলেখক।

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড