অধিকার ডেস্ক ০৪ জুলাই ২০১৮, ১৫:৪০
মূলত ঘরের আশেপাশে থাকা মানুষদের প্রতিবেশী বলা হয়। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের সৌন্দর্য। প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেওয়াকে ইসলামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি জমি বিক্রি থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিবেশীকে আগে জিজ্ঞেস করার কথা ইসলামে বলা হয়েছে।
হাদীসে আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলমানগণ ভাই ভাই। [মুসলিম]
ঘরের চারদিকে চল্লিশ ঘরের লোকদেরকে হাদীসের আলোকে প্রতিবেশী বলে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ইবাদত করো আল্লাহর, তাঁর সাথে অপর কাউকে শরীক করো না। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার করো এবং নিকটাত্মীয় এতিম, মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির ও নিজের দাসদাসীর প্রতিও সদয় আচরণ কর। [সূরা নিসা : আয়াত ৩৬]।
প্রতিবেশীকে যে নিরাপত্তা দেয় না সে নবীজীর পছন্দের মানুষ নয়। সে মুমিন নয়।
এ বিষয়ে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর শপথ, সে মুমিন নয়।’
জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! কে সে ব্যক্তি?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যার অনিষ্ঠ থেকে প্রতিবেশীগণ নিরাপদ নয়। [বুখারি ও মুসলিম]
ইসলামে সৎ ও আদর্শ প্রতিবেশীকে জীবনের সৌভাগ্যের নিদর্শন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেন, তিনটি জিনিসকে ব্যক্তির সৌভাগ্যের নিদর্শন বলা হয়েছে। প্রশস্ত বাসস্থান, সৎ প্রতিবেশী ও রুচিসম্মত বাহন। [আদাবুল মুফরাদ]
হযরত ইবন মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কিভাবে জানবো যে, আমি ভালো কাজ করছি না মন্দ কাজ করছি?
নবী (সা.) বলেন, যখন তোমার প্রতিবেশী বলবে, তুমি ভালো কাজ করছো তখন তুমি মূলত ভালো কাজ করছো। আর যখন তারা বলবে যে, তুমি খারাপ কাজ করছো তখন তুমি মূলত খারাপ কাজ করছো। [ইবন মাযা]
তাই প্রতিবেশির অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় একজন মুমিন সবসময় তৎপর থাকেন। আর এই সুন্দর আচরণিক ক্ষমতার উপর ভর করেই তো সমগ্র বিশ্বজুড়ে ইসলামী সমাজ ও পরিবার গড়ে ওঠেছে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রতিবেশীর হক আদায়ের তওফিক দিন। আমিন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড