ধর্ম ডেস্ক
দ্বীন হলো মহান আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার নাম যা আবুল বাসার আদম (আ:) কে পৃথিবীতে প্রেরণের সময় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا ۖ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّى هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَاىَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
আমি বললাম, ‘তোমরা সবাই তা থেকে নেমে যাও। অতঃপর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোন হিদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হিদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না’। (সূরা বাকারাহ ২/৩৮)
এই প্রতিশ্রুত হুদা তথা আল্লাহ তা'আালা প্রদত্ত দ্বীন নুহ থেকে শুরু করে অসংখ্য নবী রাসূল (আ:) হয়ে সর্বশেষ নবী ও রসূল মুহাম্মাদ (স:) এর উপর চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে।
شَرَعَ لَكُم مِّنَ الدِّينِ مَا وَصّٰى بِهِۦ نُوحًا وَالَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِۦٓ إِبْرٰهِيمَ وَمُوسٰى وَعِيسٰىٓ ۖ أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ ۚ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ ۚ اللَّهُ يَجْتَبِىٓ إِلَيْهِ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِىٓ إِلَيْهِ مَن يُنِيبُ
তিনি তোমাদের জন্য দ্বীন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; যে বিষয়ে তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর আমি তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হলো, তোমরা দ্বীন কায়েম করবে এবং এতে বিচ্ছিন্ন হবে না। তুমি মুশরিকদেরকে যেদিকে আহ্বান করছ তা তাদের কাছে কঠিন মনে হয়; আল্লাহ যাকে চান তার দিকে নিয়ে আসেন। আর যে তাঁর অভিমুখী হয় তাকে তিনি হিদায়াত দান করেন। (শুরা ৪২/১৩)
সর্বশেষ হুদা মুহাম্মাদ (স:)এর উপর নাজিল হয়ে পুর্ণতা লাভ করে সমাপ্তি ঘোষণা করেছে।
ۗ الْيَوْمَ يَئِسَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ ۚ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلٰمَ دِينًا
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। (মায়িদা ৫/৩)আর এই আল্লাহ সুবহাহুর দীনের নাম তাঁরই দিয়া আত্মসমার্পনের দ্বীন 'ইসলাম'।
إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلٰمُ ۗ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتٰبَ إِلَّا مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِـَٔايٰتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরই তারা মতানৈক্য করেছে, পরস্পর বিদ্বেষবশত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে, নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত। (ইমরান ৩/১৯)
বুঝা যাচ্ছে যুগে যুগে নবিগণের জিবদ্দশায় ও তাঁদের তিরোধানের পর পরস্পর বিদ্বেষবশত জেনে বুঝে দ্বীনে বিভিন্ন ধরনের মতানৈক্য সৃষ্টি করেছে। কারণ হলো বাপ দাদার লালিত দ্বীন/মাযহাব ধরে রাখার জন্য। সর্বশেষ নবীর তিরোধানের পর চৌদ্দশত বছরের ব্যাভধানে আজ আমাদের একই অবস্থা বিরাজ করছে। অথচ তাদের মতো আমরাও আজ দ্বীনে হানিফ তথা মিল্লাতে ইবরাহীম দাবিদার।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلٰى مَآ أَنزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ قَالُوا حَسْبُنَا مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ ءَابَآءَنَآ ۚ أَوَلَوْ كَانَ ءَابَآؤُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ شَيْـًٔا وَلَا يَهْتَدُونَ
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তার দিকে ও রাসূলের দিকে আস’, তারা বলে, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের যার ওপর পেয়েছি তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।’ যদিও তাদের পিতৃপুরুষরা কিছুই জানত না এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না তবুও? (মায়িদা ৫/১০৪)
আমারা সমাজে চলমান বিভিন্ন ইজতেহাদি মাযহাব ও তার ইমামদের দোশারোপ করি অথচ তাঁরা সকলেই ছিলেন কিতাব সুন্নাহর সর্বশেষ দীনের পতাকাবাহী! তবে হা কলমা থেকে কবর পর্যন্ত বাপ দাদার লালিত ভ্রান্ত রোছম ও রেওয়াজ মানছি মাযহাবের নাম ব্যাবহার করে যা মাযহাবের ইমামগণ কেউ বলেনও নাই করেনও নাই।
চলবে...
লেখক : মুরাদ বিন আমজাদ, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুসলিম উম্মাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড