• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত

‘জাহেলিয়াতের যুগে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছেন মহানবী (সা.)’ 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৫
‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) : রহমত, শান্তি ও বন্ধুত্বের নবী’ শীর্ষক আলোচনা
রাজধানীতে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) : রহমত, শান্তি ও বন্ধুত্বের নবী’ শীর্ষক আলোচনা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে বধুবার ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) : রহমত, শান্তি ও বন্ধুত্বের নবী’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.এন.এম মেশকাত উদ্দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকাহ একাডেমির বাংলাদেশস্থ স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবদুল্লাহ আল মারুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যাটাসে মাহদী তোরাবী মেহরাবানী।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক জনাব আবদুল কুদ্দুস বাদশা। স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ মাহদী হোসেইনী ফায়েক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এ.এন.এম মেশকাত উদ্দিন বলেন, মুসলমানরা বর্তমানে একটি সংকটকালের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। একদিকে অমুসলিমরা ইসলাম ও মহানবী (সা. ) সম্পর্কে না জেনে বিভিন্ন মন্তব্য করছে অন্যদিকে মুসলমানদের একটি অংশ তাদের ধর্ম সম্পর্কে না জেনে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা যেন কেবল পৈতৃক সূত্রে মুসলমান না হই বরং আমাদেরকে পড়াশোনা করে, জেনে বুঝে মুসলমান হতে হবে। মহানবীর ওপর নাজিলকৃত গ্রন্থ কুরআন হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এই মহাগ্রন্থটির সঠিক অনুসরণ এবং মহানবীর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন গড়লেই কেবল আমাদের জীবন সার্থক হবে।

তিনি বলেন, পাশ্চাত্য মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে পরিচিত করানোর চেষ্টা করছে অথচ এই ধর্ম শান্তির ধর্ম এবং আমাদের মহানবী (সা.) প্রায় ১৫০০ বছর আগে জাহেলিয়াতের যুগে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

অনুষ্ঠানে ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ মাহদী হোসেইনী ফায়েক বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উত্তম চরিত্র ও সমস্ত সৃষ্টিকূলের জন্য রহমতস্বরূপ হওয়ায় তিনি সর্বকালের সমস্ত মানুষের জন্য আদর্শ। সর্বোত্তম ও সবচেয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে মানবতার জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি দয়ালু, আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল ছিলেন। তার মহিমা ও মহানুভবতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, মহান আল্লাহ তাকে মহৎ গুণ ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হিসাবে প্রশংসা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্ব শান্তির বিষয়টি যখন ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে তখন রাসূলের জীবন থেকে শান্তির বার্তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। রাসূলের জীবনীর প্রতি দৃষ্টি দিলে এই বাস্তবতাই স্পষ্ট হয় যে, ইসলামের পথে মানুষকে আহ্বান এবং শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামের বিস্তৃতি ও গোমরাহী থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়াই ছিল রাসূলের প্রধান কাজ।

অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে নাত-এ রাসূল পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী জনাব শাহ নওয়াজ তাবীব, জনাব মেহেদী হাসান ও জনাব আলী মোহাম্মদ মেহেদী হোসেন।

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড