• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হজরত মুহাম্মদ (সা.) কি অন্য ধর্ম বা সম্প্রদায়ের প্রতি আঘাত আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন?

  অধিকার ডেস্ক    ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:১৯

কুরআনের আলো এবং আপনার জিজ্ঞাসা
কুরআনের আলো এবং আপনার জিজ্ঞাসা

মহান আল্লাহ তাআলা এই পৃথিবীতে মানুষ ও জিন জাতিকে পাঠিয়েছেন তার ইবাদতের জন্য। আল্লাহ্‌র আদেশ মেনে চলা, তার পছন্দনীয় কাজ করাই ইবাদত। একজন মুসলিম ব্যক্তির ইবাদত সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার নির্দেশনা রয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব ‘আল কুরআনে’। এর পাশাপাশি রয়েছে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী ও জীবনাচরণ অর্থাৎ হাদিস।

কুরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা জানার অধিকার রয়েছে সকল মুসলিমের। আপনার সেই অধিকার পূরণের লক্ষ্যেই 'দৈনিক অধিকার'- এর ইসলামিক প্রশ্ন-উত্তর বিষয়ক আয়োজন- ‘কুরআনের আলো এবং আপনার জিজ্ঞাসা’।

আপনি জানতে চাইতে পারেন নামাজ, রোজা, হজ বা জাকাত সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে। দৈনন্দিন জীবনের যে কোনো বিষয় সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী তাও জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আপনার করা প্রশ্নের জবাব দেবেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামিক স্কলার ও আলেমগণ।

কীভাবে প্রশ্ন পাঠাবেন :

আপনার প্রশ্ন আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন যে মাধ্যমগুলোতে-

- দৈনিক অধিকারের ফেসবুক পেজের পিনপোস্টের কমেন্ট বক্সে - দৈনিক অধিকারের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে - ([email protected]) ইমেইল এড্রেসে

বি.দ্র- প্রশ্নের সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত করুন আপনার নাম, বয়স এবং জেলা।

প্রশ্ন : বিশ্ব মানবতার প্রতীক হজরত মোহাম্মদ (সা.), যাকে মহানবী ও আলআমিন রুপে ভূষিত করা হয়েছে তিনি কি কোথাও অন্য জাতির ধর্ম বা সম্প্রদায়ের প্রতি আঘাত আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন?

উত্তর : বিশ্ব মানবতার প্রতীক হজরত মোহাম্মদ (সা.) কোনো জাতির ধর্ম বা সম্পদের ওপর আঘাত করার অনুমতি কখনও দেননি। তবে আত্মরক্ষায় নিজেকে সদা সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

যেমন- বনী যুহরা গোত্রের মিত্র এবং নবী (সা.) এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবা মিকদাদ ইবনু আমর কিন্দী রা. নবী (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল কোনো কাফেরের সাথে যদি মোকাবেলা বা লড়াই হয়, আর যদি সে তরবারির আঘাতে আমার কোনো একটি হাত কেটে ফেলে, তারপর আত্মরক্ষার জন্য কোনো গাছের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে সে বলে, আল্লাহর উদ্দেশে ইসলাম গ্রহণ করলাম, তখন এ কথা বলার পরেও কি আমি তাকে হত্যা করব?

রাসূল (সা.) বললেন “না, তাকে হত্যা করো না।” আমি বললাম সে তো আমার হাত কাটার পর এ কথা বলছে। রাসূল (সা.) আবার বললেন, তুমি তাকে হত্যা করবে না, কেননা এমতাবস্থায় তাকে হত্যা করলে, হত্যা করার পূর্বে তোমার যে মর্যাদা ছিল সে সেই মর্যাদা লাভ করবে, আর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার আগে তার যে মর্যাদা ছিল তুমি সেই মর্যাদা লাভ করবে। (সহীহ বুখারী, হা- ৩৭২০)

অতএব যুদ্ধক্ষেত্রে নিরর্থক হত্যাকাণ্ড ঘটানো যেখানে সম্পূর্ণ নিষেধ সেখানে সাধারণ ক্ষেত্রে হত্যা, আঘাতের মাধ্যমে ক্ষতি সাধন ও সম্পদ বিনষ্ট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

প্রশ্নকারী : রতন চক্রবর্তী, নোয়াখালী

উত্তর দিয়েছেন : মাওলানা আখতারুজ্জামান খালেদ, ইমাম ও খতীব

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড