• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আল্লাহ আরশে সমুন্নত

  অধিকার ডেস্ক    ০৯ আগস্ট ২০১৮, ১৪:২৩

ছবি : প্রতীকী

আরবী “ইস্তাওয়া” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে স্থান বিশেষে বিভিন্ন প্রকার অর্থে। সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায় তা তিনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

১. “ইস্তাওয়া” শব্দটি যেখানে ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে তখন তার অর্থ হবে সম্পূর্ন হওয়া বা পূর্ণতা লাভ করা। যেমন আল্লাহ তাআলা মুসা (আঃ) সম্পর্কে বলেন, আর যখন মুসা যৌবনে পর্দাপন করলেন এবং পূর্ণতা লাভ করলেন। (সূরা কাসাস- ১৪)

২. “ইস্তাওয়া” শব্দটির অর্থ হবে উপরে উঠা, আরোহন করা। যেমন আল্লাহ তাআলা নিজের সম্পর্কে বলেন, তারপর তিনি আরশের উপরে উঠলেন। (সূরা ত্বাহা- ৫)

৩. “ইস্তাওয়া”শব্দটির অর্থ হবে ইচ্ছা করা, সং করা, মনোনিবেশ করা, এই আয়াতের (সূরা বাকারা- ২৯) অর্থ করা হবে তিনি আকাশ সৃষ্টির ইচ্ছা করলেন। মুজাহিদ রঃ বলেন, এখানেও উপরে উঠার অর্থ হবে। শেষোক্ত দুই অবস্থায় “ইস্তাওয়া” শব্দটি যখন আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হবে তখন তাঁর একটি সিফাত বা গুণ হিসেবে গন্য হবে। আর আল্লাহর জন্য সে গুণ কোনো প্রকার অপব্যাখ্যা, পরিবর্তন, সাদৃশ্য নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ওয়াজিব।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ, যিনি আকাশের উপর রয়েছেন তিনি তোমাদেরকেসহ ভুমিকে ধ্বসিয়ে দিবেন না, আর তখন তা হঠাৎ থর থর করে কাঁপতে থাকবে। নাকি তোমরা নিরাপদ হয়ে গেছ, যিনি আকাশের উপর রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর পাথর বর্ষণকারী ঝড়ো হাওয়া প্রেরণ করবেন না। তখন তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্ক বাণী। (সূরা মূলক- ১৬, ১৭)

আল্লাহ তাআলা অন্যত্রে বলেন, তিনি আসমানসমূহ ও জমিন ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন, তারপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। (সূরা হাদীদ- ৪)

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন, আরশ হচ্ছে পানির উপরে, আর আল্লাহ তাআলা সমুন্নত হয়েছেন আরশের উপর। তোমাদের কর্মকান্ডের কোন কিছুই গোপন নেই। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাঃ ৫৯৪, তাবারাণী, হাঃ ৮৯৯৭)

জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে সকল ফেরেশতা আল্লাহর আরশ বহন করেন তাদের একজনের সাথে আলাপ করার জন্য আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তারঁ কানের লতি থেকে কাঁধ পর্যন্ত স্থানের দূরত্ব হলো সাতশত বছরের দূরুত্বের সমান। (আবু দাউদ, হাঃ ৪৬৯৬/৪৭২৭)

আবু মূতী বালখী রঃ বলেন, আমি ইমাম আবু হানীফা রঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম, যদি কেউ আল্লাহকে আরশের উপর সমুন্নত বলে বিশ্বাস করতঃ বলে আমি জানি না আরশ আকাশে না জমিনে? তার হুকুম কি?

তিনি বলেন, তাহলে ঐ ব্যক্তি কাফির। কারণ সে এ কথার মাধ্যমে আল্লাহর আকাশে থাকা অস্বীকার করেছে অথচ আল্লাহ সর্বচ্চে অবস্থান করেন। (শারহুল আক্বীদা আত-ত্বহাবিয়্যাহ-২৮৮ পৃঃ) ইমাম মালেক রঃ বলেন, আল্লাহ আরশে সমুন্নত একথা সকলের জানা, কিন্তু তার অবস্থানের ধরন অজানা, এর উপর ঈমান আনা ওয়াজিব। এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত। (আক্বীদাতুল ওয়াসিতিয়্যাহ- ৬৪পৃঃ)

লেখক : মাওলানা আখতারুজ্জামান খালেদ, সাবেক ইমাম ও খতীব , দুপ্তারা কুমার পাড়া জামে মসজিদ, আড়াই হাজার, নারায়ণগঞ্জ।

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড