মুনশি আমিনুল ইসলাম
আপনি যার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করেন তার বিপদে খুশি হলে এবং যাকে অপছন্দ করেন তার দুর্ভোগে পুলকিত হলে সেটিই হলো বিদ্বেষ বা অন্যের বিপদে আনন্দ অনুভব করার ব্যাধি। অথচ পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, মুমিনরা পরস্পর ভাই। কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাকে মন্দ নামে ডাকা গুনাহ। যারা এরূপ কাজ থেকে তওবা না করে তারা জালেম।’ (সুরা হুজুরাত :১০-১১)
হাদিসে শরিফে হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ‘কোনো ব্যক্তির খারাপ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে অবজ্ঞা করে।’ (সহিহ মুসলিম, রিয়াদুস সলিহীন :১৫৭৪)
আল্লাহ তায়ালা মুনাফেকদের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘তোমাদের যদি কোনো মঙ্গল হয় তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে তারা আনন্দিত হয়। আর যদি তোমরা ধৈর্যধারণ করো এবং তাকওয়া অবলম্বন করো তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনোই ক্ষতি হবে না।’ (সুরা আলে ইমরান :১২০) অন্যত্র এসেছে, ‘নিশ্চিত ধ্বংস এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে (সামনাসামনি) লোকদের উপর গালাগাল করতে এবং (পিছনে) দোষ প্রচার করতে অভ্যস্ত।’ (সুরা হুমাযাহ :১-২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদ্বেষ পোষণ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়েছেন। তিনি দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে অবিচার, দুর্ভাগ্য ও শত্রুর বিপদে আনন্দ করা থেকে আশ্রয় কামনা করছি।’ ওয়াসিলা ইবনুল আসকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দিত হয়ো না। কেননা, এতে আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করবেন এবং তোমাকে ঐ বিপদে নিমজ্জিত করবেন।’ (তিরমিজি, রিয়াদুস সলিহীন :১৫৭৭)
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড