• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কুরআন, সুইডেন এবং ন্যাটো

  রহমান মৃধা

১৩ জুলাই ২০২৩, ১৪:৫৩
কুরআন, সুইডেন এবং ন্যাটো
পবিত্র কুরআন মাজিদ ও ফাইজারের প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের সাবেক পরিচালক রহমান মৃধা (ছবি : সংগৃহীত)

আজ ১৩ জুলাই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে চলছে ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলন। এই সম্মেলনে সুইডেন ন্যাটোতে সদস্য পদ পাবে কি পাবে না তা নির্ভর করছে তুরস্কের ওপর। যদিও সুইডেন এর আগেও অনেকবার এ আশা করেছে কিন্তু তুরস্কের সমর্থন না পাওয়ায় সদস্য হওয়া থেকে বঞ্চিত এখনো সুইডেন।

সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার দেশের টেলিভিশনে একটি বিবৃতিতে বলেছেন ‘সুইডেনের ন্যাটো আবেদনকে সমর্থন করার জন্য আমরা উন্মুক্ত’। আজ তিনি সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ প্রাপ্তি নিয়ে তার আলোচনার পুনরাবৃত্তি করেন, যা সমালোচনায় রূপান্তরিত হয়। তিনি বলেন, তুরস্ক কীভাবে এমন একটি দেশকে বিশ্বাস করবে যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা স্বাধীনভাবে চলে? যে জাতি সন্ত্রাসবাদ থেকে নিজেকে দূরে রাখে না তারা কীভাবে ন্যাটোতে অবদান রাখবে?

মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরিফ পোড়ানো নিয়ে এখন চলছে এক ভিন্ন রাজনীতি। সুইডেনে সর্বপ্রথম কুরআন শরিফ পোড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিল সুইডিশ ডেনিশ নাগরিক রাসমুস পালুদান।

পালু জন্মগত সূত্রে একজন ডেনিশ নাগরিক। তবে তার বাবা টমাস পল্ভাল একজন সুইডিশ সাংবাদিক। তার দুই চাচার নাম কবি টিনে পালুদান এবং লেখক মার্টিন পালুদান। রাসমুস পালুদানের এই দুই চাচা বিকল্প ডেনমার্ক নামের একটি রাজনৈতিক দলের সামাজিক মিডিয়ার দায়িত্বে আছে। মা ডেনিশ ও শিক্ষিকা।

যার ফলে রাসমুস সুইডিশ ও ডেনিশ নাগরিক। সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির মতে পহেলা জুন ১৯৮৯ সালে বাবা টমাস পল্ভাল সুইডিশ নাগরিক হওয়ার কারণে রাসমুস সুইডিশ নাগরিকত্ব অর্জন করে। তার বর্তমান বয়স ৪১ বৎসর।

রাসমুস পালুদান ২০১৭ সালে স্ট্রাম কুর্স নামে একটি চরম ডানপন্থি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে এবং এই দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ২০২১ সালে সুইডেনে একই নামে সুইডিশ স্ট্রাম কুর্স প্রতিষ্ঠা করে দলের চেয়ারম্যান হয়। এই দলটি প্রচণ্ড ইসলাম ও অভিবাসন বিরোধী।

দলটি সুইডেন এবং ডেনমার্কের আশেপাশে বেশ কয়েকটি জায়গায় কোরআন পোড়ানোর জন্য সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করে। ২০১৯ সালে রাসমুস ডেনমার্কের রাজধানী কপেনহাগেনে প্রথমবার কুরআন শরিফ জ্বালিয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্ট্রাম কুর্স রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে ডেনমার্ক ও সুইডেনের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করতে পারেনি।

রাসমুস পালুদান ২০২২ সালে সুইডিশ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সুইডেনের বিভিন্ন শহরে পুলিশের অনুমতি নিয়ে একটির পর একটি কুরআন শরীফ পোড়াতে গেলে স্থানীয় মুসলমানদের দ্বারা বাঁধার সম্মুখীন হলে পুলিশ তাকে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আগলিয়ে রাখে। বাক স্বাধীনতার নামে সুইডেনের পুলিশ কর্তৃক পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়লে একসময় তারা পালুদানকে এধরনের কাজে অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয়।

কুরআন পোড়ানোর অনুমতি প্রদান না দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশ গোপনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে অনেকে মনে করছে। কারণ দেশের বাক স্বাধীনতার আইনে পুলিশ কখনো এ ধরনের কাজে অনুমতি নাকচ করতে পারে না।

অন্য দিকে সরকার বলছে সভা মিছিল হওয়ার অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ কর্তৃপক্ষের। এ ব্যাপারে সরকারের কিছু করার নেই। সাধারণত এধরনের অনুমতি স্থানীয় পুলিশ দিয়ে থাকে। সরকারের সাথে এই অনুমতির কোনো সম্পর্ক নেই।

সরকারের এ ধরনের কথার সাথে স্থানীয় মুসলমানেরা কখনো এক মত হতে পারছেন না। কারণ ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশেই গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাজনৈতিক সিস্টেম আছে। এসব দেশে কখনো কোনো ধর্মগ্রন্থ এভাবে একের পর এক পোড়ানো হয়নি। এমনকি সুইডেনের প্রতিবেশী দেশ ডেনমার্ক, নরওয়ে বা ফিনল্যান্ডে ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয় না।

পর্যবেক্ষক মহলের মতে সুইডিশ সরকার চাইলে আইনের মাধ্যমে এধরনের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করতে পারে। এধরনের কার্যকলাপে বাক-স্বাধীনতার প্রশ্ন আসতে পারে না। মুসলিম বিশ্ব থেকে সুইডেনকে বারবার পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরিফ পোড়ানো বন্ধ করার দাবি জানানো সত্ত্বেও সুইডিশ সরকার কখনো বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।

কুরআন পোড়ানোর নিষিদ্ধের প্রশ্নে তারা সবসময় বাক-স্বাধীনতার কথা সামনে নিয়ে এসেছে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ করে পশ্চিমা বিশ্ব কি তাহলে তাদের দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা হরণ করেছে? নিশ্চয়ই না।

এ দিকে অধিকাংশ সুইডিশ এখন কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করতে চায়। জুনের শেষের দিকে কুরবানি ঈদের দিন স্টকহোমে একটি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে একজন ইরাকীর কোরআন পোড়ানোর পর বহির্বিশ্ব থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসার কারণে এখন সুইডিশ সরকার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে।

অন্য দিকে সুইডেনের ন্যাটোতে মেম্বার লাভের সুযোগটি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান আটকিয়ে রেখেছেন। দুইটি কারণে সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের পথে তুরস্ক বাঁধা দিয়ে আসছে। প্রথম কারণ PKK (তুরস্কের কুর্দিস্তানের একটি রাজনৈতিক দল)। এই দলটিকে তুরস্কসহ ইইউ বর্তমানে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করেছে। পিকেকে অর্থ হল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি। ১৯৭৮ সালে আব্দুল্লাহ ওকালান মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আদর্শে এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।

কুর্দিরা বিশ্বের এমন একটি জাতি যাদের নিজস্ব কোনো রাষ্ট্র নেই। অথচ তারা বিশ্বের বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। বেশিরভাগ কুর্দিদের শিকড় তুরস্ক, ইরাক এবং ইরানের সীমান্ত এলাকায়। এই দেশগুলো কুর্দিদের জন্য তাদের ভূখণ্ডের কোনো অংশ ছেড়ে দিতে চায় না। তবে ইরাকে কুর্দিদের সুদূরপ্রসারী স্বায়ত্তশাসন রয়েছে।

ইইউ কর্তৃক পিকেকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও সুইডেন কেন এই দলের লোকদের আশ্রয় ও দেশটি থেকে তুরস্ক সরকারবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে? এই কারণ দেখিয়ে প্রেসিডেন্ট আরদগান বার বার ন্যাটোর সভায় সুইডেনের সদস্য পদ আটকিয়ে রেখেছেন।

শুধু তাই নয় তুরস্কের দাবি সুইডেনে অবস্থান করে তুরস্ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের যে তালিকা তুরস্ক সুইডেন সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে তাদের তুরস্কে ফেরত পাঠাতে হবে। সুইডেনের জন্য তুরস্কের এধরনের দাবি পূরণ করা কিছুতেই সম্ভব নয়।

তুরস্কের দ্বিতীয় দাবি বাক-স্বাধীনতার নামে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরিফ পোড়ানো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, সুইডেনের ন্যাটো সদস্য পদ লাভে যারা বিরোধী পক্ষ তারা কুরআন পোড়ানোর মাধ্যমে তুরস্ককে না বলার জন্য উচ্ছ্বসিত করছে। কারণ এর পূর্বে স্টকহোম তুরস্ক দূতাবাসের সম্মুখে কুরআন পোড়ানো হয়। এখন প্রশ্ন হলো তুরস্ক দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ানোর অনুমতি পুলিশ কী করে দেয়?

সুইডিশ টেলিভিশন সরাসরি কুরআন শরীফের কথা উল্লেখ না করে সুইডেনের জাতীয় সংসদের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সবক্ষেত্রেই পবিত্র লেখা পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে কী না প্রশ্ন করলে সবার উত্তর সুইডেনকে অবশ্যই মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।

সুইডেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিসটারসন (মোডারেট পার্টি বা রক্ষণশীল দল)-এর মতে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি মৌলিক অংশ। কিন্তু আইন আছে বলে সবসময় সঠিক হতে পারে না। অনেকের মতে বাক-স্বাধীনতা ধর্মকে উপহাস করতে সুযোগ দিচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেইবার পার্টির (সোশ্যাল ডেমোক্রেসি) প্রেসিডেন্ট মাগদালেনা আন্দেশন সরাসরি প্রশ্নকে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এটি স্পষ্টতই একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি, আমরা এখনো ন্যাটো সদস্যতার এক ধাপ কাছাকাছি নই। সরকারকে ঠাণ্ডা মাথা রাখতে হবে এবং কী করতে হবে এবং কী বিবৃতি দিতে হবে সে সম্পর্কে সাবধানে ভাবতে হবে।

লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট ও সরকারের শ্রম মন্ত্রী ইউহান পারসন বলেন, আমার ধর্ম, অবস্থান বা রাজনৈতিক মতামত নির্বিশেষে একজন ব্যক্তি হিসেবে আমাকে চ্যালেঞ্জ করে এমন কাজগুলো দেখা বেদনাদায়ক। সুইডেনে আপনি একটি ধর্মকে কতটা খারাপ মনে করেন তা আপনি শক্তিশালী অভিব্যক্তির সাথে ব্যাখ্যা করতে পারেন, যদি না আপনি একজন ব্যক্তিকে আক্রমণ না করেন এবং একদল লোকের বিরুদ্ধে উসকানি বা অপবাদ না দেন।

এ দিকে সম্প্রতি কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছে সুইডেন সরকার। কিন্তু সরকারের সমর্থক চরম ডানপন্থী দল সুইডেন ডেমোক্র্যাটরা এব্যাপারে সরকারের সাথে একমত নয়। টুইটারে সুইডিশ পার্লামেন্টের আইন বিষয়ক কমিটির প্রেসিডেন্ট রিচার্ড জোমশফ এক মন্তব্যে লিখেছেন, এটি মুসলিম দেশ নয়, সুইডিশ গণতন্ত্র আসলে কোনো সমস্যা নয়। বিশ্বে এমন কোনো মুসলিম দেশ নেই যেখানে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র আছে। অনেক মুসলিম দেশ পূর্ণাঙ্গ একনায়কত্বের অধিকারী। তিনি মুসলিম দেশগুলোর সমালোচনা করে লিখেন এখানে নারীদের এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের নিপীড়ন করা হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার ন্যাটো সম্মেলন শুরু হওয়ার পূর্বে এরদোগান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্ভবত একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করবেন। এছাড়া আগামী সোমবার এরদোগান এবং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন লিথুয়ানের রাজধানীতে একটি বৈঠকে মিলিত হবেন বলে জানা গেছে। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের নেতৃত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

ঠিক এমনি সময় সাম্প্রতিক কোরআন পোড়ানোর ঘটনা নিয়ে সুইডিশ সরকারের আইন মন্ত্রী গুনার স্ট্রোমার (এম) এর ঘোষণা সবাইকে অবাক করেছে। তিনি বলেন এবিষয়ে আইনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ সম্ভবত বাক-স্বাধীনতা আইনকে নতুন করে দেখা হতে পারে। তিনি বলেন অধ্যাদেশ আইনে পরিবর্তন করা দরকার কি-না তা বিবেচনা করা হচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর আলোকে আমাদের আইনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে হবে।

তাহলে কি ন্যাটোতে সদস্য পাওয়ার আশায় তিনি কুরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সবুজ আলো দেখাচ্ছেন? এবার দেখা যাক তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্য হওয়া নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন! সব জল্পনা কল্পনা শেষে সুইডেনে এখন ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে, আর কিছু না হোক কুরআন পোড়ানো বন্ধ হবে, এ বিশ্বাস আমি করি।

লেখক : রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার, সুইডেন।

[email protected]

(মতামত পাতায় প্রকাশিত লেখা একান্ত লেখকের মত। এর সঙ্গে পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতিমালার কোনো সম্পর্ক নেই।)

চলমান আলোচিত ঘটনা বা দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য সমসাময়িক বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড