• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিবির সন্দেহেই আবরারকে পিটিয়ে হত্যা : ডিএমপি  

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:০৯
আবরার হত্যাকাণ্ড
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম (ছবি : ফাইল ফটো)

শিবির সন্দেহেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মনিরুল ইসলাম।

আবরার হত্যার নেপথ্য কারণ হিসেবে কী খুঁজে পেল পুলিশ এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৯ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের জবানবন্দিতে বলা হয়, মূলত শিবির সন্দেহেই আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের জবানবন্দিতে হত্যার কারণ হিসেবে এমনটাই বেরিয়ে এসেছে।’

নভেম্বর মাসেই আবরার হত্যার তদন্ত শেষ হবে বলে নিশ্চিত করে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই আবরার হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হবে। নভেম্বর মাসেই আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।’

এছাড়া ঘটনার রাতে বুয়েটে পুলিশের কোনো টহল টিম ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত ৩টা পর্যন্ত বুয়েট এলাকায় পুলিশের একটি টিম টহল দেয়। কিন্তু তারা এ সময় কোনো হইচইয়ের শব্দ পায়নি।’

গত ৬ অক্টোবর শিবির সন্দেহে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবরার ফাহাদের কর্মকাণ্ড তদারকি করেন শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর আবরার ফাহাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মারা যান আবরার ফাহাদ। এ ঘটনার ঠিক একদিন পূর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার। তার আগেও ফেসবুকে কাশ্মীর ইস্যুসহ নানা বিষয়েই সমালোচনা করেছেন তিনি।

আবরারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অনিক সরকার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, ৪-৫ দিন আগে থেকেই ফাহাদ ছাত্রলীগের টার্গেটে ছিল। ঘটনার দিন আবরার গ্রামের বাড়ি থেকে আসায় ওইদিন সন্ধ্যার পর তাকে ২০১১ নম্বর কক্ষে ডাকার পরিকল্পনা হয়। তিনি এও জানান, তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল শিবির শনাক্ত করা। এমনকি মারধরের এক পর্যায়ে তাকে শিবির বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান। কিন্তু আবরার মুখ না খোলায় উত্তেজিত হয়ে তাকে আরও বেশি মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে মারা যান আবরার।

ওডি/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড