• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সরকারি চাকরিতে বাধ্যতামূলক হচ্ছে ডোপটেস্ট

  অধিকার ডেস্ক

২৫ জুন ২০১৯, ১৫:০১
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (ছবি : সংগৃহীত) 

সরকারি চাকরিতে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি মাদকাসক্ত হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামীকাল বুধবার (২৬ জুন) মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ডোপটেস্টের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অনুশাসন দিয়েছেন। এটা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে।

সরকারি কর্মকর্তারাও যদি মাদকাসক্ত হন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় ডোপটেস্ট করা হবে। রক্তে যদি মাদক পাওয়া যায় তাহলে তার আবেদন বাতিল বা গ্রহণ করা হবে না।

মাদক নিয়ন্ত্রণে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত সুরক্ষিত কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে বারবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো কথাই কার্যকর হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারকে বারবার অনুরোধ করেছি। তারা পাল্টা বলে আসছে এগুলো অবৈধ। তবে তাদের কথার কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। আমরা চাই এ কথার বাস্তবায়ন হোক। কারণ তারা এগুলোর বিরুদ্ধে সবসময় বলে আসলেও কাজ হচ্ছে না।

তবে ভারতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, ভারত থেকে এখন ফেনসিডিল আনার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আগে ভারত থেকে যে পরিমাণ ফেনসিডিল আসতো এখন তার ৫৯ ভাগও আসে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যারা ফেনসিডিল তৈরি করে তারা যাতে সেখানে সে কাজটি না করে সে বিষয়ে ভারতকে বলা হয়েছে।

দুই দেশ মিলে এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতও এ বিষয়ে কাজ করছে। এরপরেও কিছু যে আসছে না আমি সেটা বলবো না। আমরা সেই জায়গাটিতে কাজ করছি।

তিনি আরও জানান, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সীমান্তের কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে হেলিকপ্টার ছাড়া যাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী দুটি হেলিকপ্টার কেনার অনুমতি দিয়েছেন। এই দুটি হেলিকপ্টার আসছে। মোটকথা আমরা সর্বাত্মক প্রতিষ্ঠা করবো যাতে সীমান্ত দিয়ে অবাধে মাদক না আসে।

রোহিঙ্গারা মাদক ব্যবসা করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষার জন্য আশ্রয় দিয়েছি। এতে আমাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। কিন্তু ইয়াবা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করে থাকে। এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার সময় বিজিবির সঙ্গে গুলির ঘটনা হলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ সেলফডিফেন্স আইনের আওতায় নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র চালায়।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা কত এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে হত্যা করেন না। বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা যে তালিকা পাই, তা একত্রে করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দেওয়া হয়। তখন তারা বিভিন্ন অভিযানে যান, অপরাধী চ্যালেঞ্জ করলে এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।

যেখানে অবৈধ ব্যবসা আছে সেখানেই অবৈধ অস্ত্র থাকে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা অবৈধ ব্যবসা করে তাদের পেশীশক্তির প্রয়োজন হয়। কিংবা তাদের অবৈধ অস্ত্রের প্রয়োজন হয়।

ওডি/এসিএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড