কুরিয়ারে ইয়াবা পাচার : এসএ পরিবহনের ৩ কর্মকর্তা র্যাব হেফাজতে
অধিকার ডেস্ক
রাজধানীর উত্তরায় কুরিয়ার সার্ভিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এসএ পরিবহনের অফিস থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা জব্দসহ দুই মাদক কারবারিকে হাতেনাতে আটকের পর কুরিয়ার সার্ভিসটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এমরানুল হাসান। তিনি জানান, তাদের রবিবার (১৯ মে) রাতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- এস এ পরিবহনের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম, উত্তরা শাখার ম্যানেজার মো. মোস্তফা ও সহকারী ম্যানেজার মো. খসরুজ্জামান।
এ বিষয়ে র্যাব-৩-এর কর্মকর্তা এএসপি রবিউল ইসলাম জানান, দুই মাদক কারবারি শনিবার (১৮ মে) কক্সবাজার থেকে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ইয়াবার একটি চালান পার্সেল করে বিমানে রাজধানী আসেন। একদিন পর রবিবার সেই চালান উত্তরার এসএ পরিবহনের শাখা থেকে রিসিভ করতে গিয়েই র্যাব-৩- এর হাতে ধরা পড়েন তারা। পরে জানা যায়, এক লাখ পিসের ওই ইয়াবার চালান আনা হয় ঝিনুকের তৈরি কানের দুল ও মাথার চুলের ক্লিপের অলঙ্কারের কার্টুনে।
এ ইয়াবা পাচারে কুরিয়ার সার্ভিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এসএ পরিবহনের গাফিলতি স্পষ্ট। ইয়াবা পরিবহনে এসএ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না সে ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইয়াবা ব্যবসা, পরিবহন কিংবা চালান আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের আলাওল অ্যাভিনিউ এলাকার ২০ নম্বর বাড়ির ওই এসএ পরিবহনের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ মীর কাশেম (৩১) ও মোরশেদ আলী (৩৩) নামে দুই মাদক কারবারিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে র্যাব-৩-এর একটি দল।
পরে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, মাদক পরিবহনে এসএ পরিবহনের অবশ্যই গাফিলতি আছে। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে, ধরাও পড়েছে। পরিবহন যখন হয় তখন যে নামেই পরিবহন হোক না কেন স্ক্যানারের মাধ্যমে দেখা উচিত। কেউ বিস্ফোরক পাঠালেই কি তা পরিবহন করবে? মাদক থাকলেও পাঠাবে?
এসএ পরিবহনসহ সব কুরিয়ার সার্ভিসকে সতর্ক থাকা উচিত উল্লেখ করে এমরানুল হাসান বলেন, আমাদের পোস্টাল ১৮৯৮ যে অ্যাক্ট আছে তা দিয়েই এসব কুরিয়ার চলে। সেখানে স্পষ্ট আছে যে, যেগুলো সরকার কর্তৃক অবৈধ তা পরিবহন করতে পারবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটেছে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার র্যাব গ্রহণ করবে। এরপর থেকে আমরা এসএ পরিবহনসহ অন্যান্য সকল কুরিয়ার সার্ভিসকেও নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসব।
ওডি/এএস
