অধিকার ডেস্ক ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১১:২৪
নৌপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপনসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা দিনভর কর্মবিরতি পালনের পর মঙ্গলবার গভীর রাতে তা স্থগিত করেছেন।
এতে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে বরিশালের অভ্যন্তরীণ বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে এ লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
রাতে শ্রম অধিদপ্তরে সরকার, মালিক ও শ্রমিক নেতাদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর নৌ চলাচল স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে সোমবার মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনে যান শ্রমিকরা। দেশব্যাপী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে নদীবন্দরগুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নৌপথে পণ্য পরিবহন ও খালাসে স্থবিরতা নেমে আসে।
এতে মঙ্গলবার দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। এ দিন ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১১টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। স্বাভাবিক সময়ে এ বন্দর থেকেই প্রতিদিন ৭৫-৮০টি লঞ্চ ছেড়ে যেত।
রাজধানীর শ্রম অধিদপ্তরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুরু হয় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের উপস্থিতিতে এ বৈঠক চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের তুমুল হইচই ও বাকবিতণ্ডার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নৌযান ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
ওই সব দাবি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈঠকে কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
ওডি/এসএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড