• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আদালতের রায় বাংলায় লিখতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

  অধিকার ডেস্ক    ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৯

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শে

আদালতের রায় বাংলায় লিখতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আদালতের রায়টা যদি কেউ ইংরেজিতেও লিখতে চায়, লিখতে পারেন। কিন্তু, একটা শর্ত থাকবে, এটা বাংলা ভাষাতেও প্রকাশ করতে হবে। যিনি রায় পাবেন, তিনি যেন পড়ে জানতে পারেন।’

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অমর একুশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রায় ইংরেজিও রোমান স্টাইলে না লিখে একটু সহজ ইংরেজিতে লেখা, অন্তত যে ভাষাটা সবাই বুঝতে পারেন, সে ভাষা লেখা উচিত। এছাড়া বাংলায় রায় লিখে ইংরেজিতে ভাষান্তর করে দিতে পারেন। আমি মনে করি আমাদের যারা আদালতে আছেন, তারা যদি মাতৃভাষায় লেখার অভ্যাসটা করেন, সেটা অন্তত স্বল্পশিক্ষিত যারা তাদের জন্য সুবিধা হবে। আর ইংরেজি যে রায়টা দেওয়া হয়, সেই রায়ে কি বললো তা জানতে নির্ভর করতে হয় আইনজীবীর ওপর। আইনজীবী যা বুঝিয়ে দেবেন, সেটাই বুঝতে হবে, নিজে পড়ে জানার কোনও সুযোগ থাকে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন না হয় আমরা শিক্ষার হার বাড়িয়েছি। কিন্তু, ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন অক্ষর জ্ঞানসম্পন্নই ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ। অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষাতেও লেখাপড়া জানতো না।’

মাতৃভাষা চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘মাতৃভাষায় শিক্ষা, মাতৃভাষা জানা, এটা অপরিহার্য। আজকে বিশ্ব- গ্লোবাল ভিলেজ। আমাদের ভাষাগতভাবে যোগাযোগটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পৃথিবীর সব দেশে কিন্তু নিজের ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে একটা দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষা নেয়। কাজেই দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে অন্য ভাষা শিক্ষার সুযোগ কিন্তু আমাদের দেশে আছে। ইতোমধ্য ৯টি ভাষা দিয়ে একটি অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছি আমরা। এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একেক অঞ্চলে একেক ধরনের কথা বলি। এতে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা অফিসিয়াল একটা ভাষা ব্যবহার করি। যে ভাষাটা প্রমিত বাংলা, ইতোমধ্যে আমাদের বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে। সেজন্য বাংলা একাডেমিকেও ধন্যবাদ জানাই। তবে, আমরা যারা আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করি, সেটাকে একেবারে বাদ দেওয়া ঠিক না। বাদ দিলে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বই থাকে না।’

‘একুশ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই একুশের আন্দোলন থেকে শুরু করে আমরা একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি’ এই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য শেষ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড