বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে : স্পিকার

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ গড়তে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে পীরগঞ্জ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের জাতি শ্রদ্ধাভরে চিরদিন স্মরণ করবে- মন্তব্য করে স্পিকার বলেন, 'জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন চক্রান্ত চরিতার্থ করতে বিজয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতির সূর্য সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আল বদররা।'

তিনি বলেন, 'হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই-সংগ্রামের ফসল আমাদের স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ৭ মার্চের দিক নির্দেশনামূলক ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল স্তরের মুক্তিকামী জনতা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আর বিজয়ী বীরের বেশে তাঁরা ঘরে ফিরেছিল।'

স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশের জন্য জাতির পিতার সংগ্রামের ইতিহাস, ৩০ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানান ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন স্পিকার। এরপর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পৌরসভার মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান রাঙ্গা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড এর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের নাগরিক সমোজের প্রতিনিধিবৃন্দ।