• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস রোধে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

  অধিকার ডেস্ক    ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা সেনানিবাসে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (ছবি: বাসস)

সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এবং সম্মানীর জন্য আইন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সশস্ত্রবাহিনীর বীর সদস্যদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস রোধে কাজ করছে বর্তমান সরকার।'

বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের জন্য আধুনিক সরঞ্জামাদি কেনা থেকে শুরু করে অনেক কিছু করেছে আমাদের সরকার। ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও সমৃদ্ধ করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'

শেখ হাসিনা বলেন, '২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম দিন বদলের সনদ। আপনারাই বিবেচনা করে দেখবেন। সেই দিন বদল আমরা করতে পেরেছিলাম কি-না। আমি দাবি করবো, অবশ্যই দিন বদল করেছি। তবে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে, অনেক উন্নয়ন করতে হবে। যে দেশে ৪০ ভাগ দারিদ্র্য ছিল, সেটা আমরা ২১ ভাগে নিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য আরও পাঁচভাগ এই দারিদ্র্যের হার আমরা কমাবো। বাংলাদেশ হবে দারিদ্রমুক্ত দেশ।'

তিনি বলেন, 'যে দেশকে জাতির পিতা স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতিও আদায় করেছিল। মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে। আজকে সেই বাংলাদেশ জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। স্বাধীনতা মানুষের সুফল আমরা প্রত্যেকটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিবো। এ দেশের মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জিত হবে না। অন্নের জন্য হাহাকার করবে না। বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। প্রত্যেকের জীবন সুন্দর হবে না। যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন।'

অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানান প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তাদের হাতে আর্থিক সম্মানী ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। নয় সেনা সদস্য, নৌ এবং বিমান বাহিনীর চার সদস্যকে ২০১৭-১৮ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। পরে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুই নেতার পর সম্মিলিতিভাবে ফুল দিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান- সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালের আজকের দিনটিতেই সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। তাই এই দিনটিকে স্মরণ করতে এবং দিনটির তাৎপর্য সমুন্নত রাখতে ২১ নভেম্বরকে 'সশস্ত্র বাহিনী দিবস' হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড