• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি প্রবাসীদের

মালয়েশিয়া থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে ভাটা

  আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০১
মালয়েশিয়া থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে ভাটা
মালয়েশিয়া থেকে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হচ্ছে (ছবি : অধিকার)

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের বিপরীতে কম টাকা পাওয়ায় বৈধ চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠানোর আগ্রহে ভাটা লক্ষ্য করছেন রেমিট্যান্স হাউজগুলো। সরকারি প্রণোদনা আর নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেও যেন প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

ফলে বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি দেশ থেকে রেমিট্যান্স আসা দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া ছিল ৫ম স্থানে। যা এখন বর্তমানে ৭মে নেমে এসেছে। প্রণোদনা বাড়ানোর পাশাপাশি ডলারের বিনিময় মূল্য বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার দাবি প্রবাসীদের।

এই সুযোগে হুন্ডি কারবারি ও টাকা পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রিঙ্গিত প্রতি ব্যাংক রেট থেকে এক টাকা বেশি পাচ্ছে হুন্ডিতে এবং তাদেরকে কর্মস্থল থেকে দূরের ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানো লাগছে না। হুন্ডিতে টাকা পাঠানো তুলনামূলক সহজ ও লাভজনক বলে প্রবাসীরা সেটাই অবলম্বন করছে।

এপ্রিলে (চলতি মাসে) রিঙ্গিত প্রতি ২৪ টাকা ৫ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে এসেছে যা গত মাসে ২৬ টাকা ছিল যার কারণে প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশ আগ্রহ দেখা গিয়েছিলো। তাতে আগের থেকে ৪০ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছিল।

এ দিকে মার্চ মাসে মালয়েশিয়া থেকে বৈধ পথে ৯৮ দশমিক ৮০ মিলিয়ন ইউএস ডলার যা এক হাজার ৫৭ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এপ্রিল মাস থেকে বাংলাদেশে রিঙ্গিতের দাম কমায় প্রবাসীরা আবারও হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

আগের মাস থেকে ২০ শতাংশ কমে যাবার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ডলার বা রিংগিতের বিনিময় মূল্য যাই হোক আড়াই শতাংশ সরকারি প্রণোদনা পাচ্ছে কিন্তু এই প্রণোদনা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন কেউ কেউ, তারা আশা করছেন সরকার আরও বেশি দিবে। এমনকি সরকার সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে সিআইপি মর্যাদা দেয়।

কিন্তু সম্মান ও প্রণোদনা বৃদ্ধি করলেই যে বৈধ পথে দেশে অর্থ প্রেরণ করবে এমন নিশ্চয়তা নেই যদি না অর্থ প্রেরণকারী সচেতন হয় এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত না হয়।

প্রবাসী আয় কমার অন্যান্য কারণগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি বৈধ পথে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ানোর দিকেই জোর তৎপরতা চলছে।

এনবিএল, সিবিএল ও অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজের পক্ষ থেকে সম্প্রতি দেশটিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার বরাবর ১০ দফা সম্বলিত একটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হলে বিদেশে অবৈধ উপায়ে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ করতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় রেমিট্যান্সের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হুন্ডিসহ প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার পাশাপাশি প্রবাসীদের সচেতনতার ওপর সরকার জোর দিয়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধ ও প্রবাসীদের সচেতন করতে কাজ করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার আহ্বান জানান হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড