হুমকি নেই, এরপরও ইদ জামাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ইদ জামাতকে কেন্দ্র করে নতুন কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেছেন, ইদ জামাতে কোনো হুমকি নেই, তবে শোলাকিয়া ইদগাহে অতীতের দুর্ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ইদগাহ ময়দানের নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে সারা দেশে কোটি মুসলমান ইদের নামাজ আদায় করবেন। ঢাকায় অসংখ্য জায়গায় ইদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যতম বৃহৎ জাতীয় ঈদগাহ মাঠ, যেখানে ঢাকার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ইদগাহ মাঠে রাষ্ট্রপতিসহ রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নামাজ পড়তে আসবেন। প্রায় ৩৫ হাজার লোক একসঙ্গে এখানে নামাজ পড়বেন। এছাড়া বায়তুল মোকাররমসহ ঢাকার অনেক জায়গায় ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ইদের জামাতে আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মুসল্লিরা কোনো শঙ্কা ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন, এটা তাদেরকে নিশ্চিত করছি। সিটিটিসির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো মাঠ সুইপিং করা হয়েছে, যা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ায় থাকবে, যাতে ইদগাহ মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে। ইদের দিন সিটিটিসির সোয়াত টিম আশেপাশে থাকবে, যাতে যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করতে পারে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ইদগাহ মাঠে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। জাতীয় ইদগাহে আসা প্রত্যেককে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য যাতে সবাই একটু সময় নিয়ে মাঠে আসেন। মাঠে জায়নামাজ ছাড়া অন্যকোনো কিছু সঙ্গে আনবেন না। কোনো দাহ্য পদার্থ আনা যাবে না।

ইদগাহে ভিআইপি যারা আসবেন তাদের জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার ব্রিগেড থাকবে। অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে জাতীয় ইদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ইদ আনন্দ আমরা সবাই ভাগাভাগি করে নিবো, আশা করছি আনন্দঘন পরিবেশে ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইদে সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট নেই। তারপরেও এটা যেহেতু ঢাকার সর্ববৃহৎ ইদ জামাত, এ জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আয়োজন রয়েছে। শোলাকিয়ার ইদগাহ মাঠে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল, অতীতের সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।