• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৯১৩ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

  নিজস্ব প্রতিবেক

১৭ মে ২০১৮, ১১:০৩

বাংলাদেশকে ১১ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯১৩ কোটি টাকা। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে ‘সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ’ শিরোনামের প্রকল্পের আওতায় এই টাকা খরচ হবে।

বুধবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকার আবাসিক প্রধান চিমিয়াও ফান ।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিমসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের ২০ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করা হবে। সৃজনশীল, পরিবেশসম্মত, টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারে এই ঋণ ব্যবহার হবে।’

বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান চিমিয়াও ফান বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, সবুজ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিযোজন খাতে প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ছে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। অন্যদিকে দারিদ্র্য বিমোচনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। চাকরির ব্যবস্থা হবে। প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা সম্ভব হবে।’

চিমিয়াও ফান আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ফলে এখানে টেকসই উন্নয়ন জরুরি। এ জন্য এখন থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় পিকেএসএফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কাজ করছে সংস্থাটি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প হুমকিতে আছে। সে ক্ষেত্রে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়বে’।

চুক্তি প্রসঙ্গে ইআরডির সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় সক্ষম করে তোলা হবে।’

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম উল্লেখ করেন, ‘পিকেএসএফের সব প্রকল্পই সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হয়। পিকেএসএফ তাদের যেকোনো প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। যেকোনো ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা মোট খরচ হবে। বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে ৯১৩ কোটি টাকা। বাকি ১৬৬ কোটি টাকা যোগান দিবে পিকেএসএফ। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণের সার্ভিস চার্জ ০.৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশকে ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সারা দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছে ৭০ লাখ। যার মধ্যে পরিবেশ ঝুঁকিতে রয়েছে ৯০ শতাংশ ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড