• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে ছাত্রলীগের বিবৃতি

  অধিকার ডেস্ক    ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০২:১৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ
(ছবি : প্রতীকী)

আবারো যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় নেওয়াসহ কর্তৃপক্ষের কাছে মোট চার দফা দাবি উত্থাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি উত্থাপন করা হয়।

সে সময় ছাত্রলীগের উত্থাপন করা দাবিগুলো হলো-

পুনরায় যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আবারও গ্রহণ অথবা উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে ভর্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট এক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আসা।

একইসঙ্গে ডিজিটাল জালিয়াতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস অথবা অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ। তাছাড়া সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বনকারী, পরীক্ষার্থী ডিজিটাল জালিয়াতি কিংবা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেকের ভর্তি সম্পূর্ণ বাতিল করা।

আধুনিক যুগোপযোগী মানসম্মত ভর্তি পরীক্ষার স্বার্থে শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য ও ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে পলিসি ডিবেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করা।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রদানের আগেই ফলাফল প্রকাশের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ বিষয়ে তারাও এই পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের দাবি জানান।

অন্যদিকে এই পরীক্ষার ফল সম্পূর্ণ বাতিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকালে ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে শিক্ষা সচিব এবং ঢাবি উপাচার্যের নিকট এ বিষয়ে একটি নোটিশ পাঠান।

এর আগে গত শুক্রবার (১২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে এ অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে এখানে ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছে। পরে যদিও তীব্র সমালোচনার মুখে প্রথমে সোমবার (১৫ অক্টোবর) এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ স্থগিত করা হয়।

তবে পরদিন মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) ঠিকই এর ফল প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে ইউনিটটিতে নিকট অতীতে সর্বোচ্চ ফলাফল হয়েছে, যা ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় দুই থেকে তিনগুণ। এ সময় প্রায় ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

এমনও দেখা গেছে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ফেল করেছিলেন। এই শিক্ষার্থীটির নাম জিহাদ হাসান আকাশ। সে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর এর পরেই এ বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় আরও তীব্র সমালোচনা। সে সময় এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পায়।

পরে ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় গ্রেফতার করে ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশ। এ বিষয়ে উপউপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত করেছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানায় বাম ছাত্র সংগঠনসহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন। পরে এ বিষয়ে অনশন শুরু করেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড