• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সংকটময় মুহূর্তে আমার ভরসা ছিল বাংলার জনগণ : প্রধানমন্ত্রী

  অধিকার ডেস্ক    ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৬

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘দেশের যে সংকটময় মুহূর্তে আমি দেশে ফিরে আসি সে সময় আমার ভরসা ছিল বাংলার জনগণ, আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মী ও ভাইয়েরা, বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষ- যাদের জন্য আমার পিতা সারাজীবন কষ্ট করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে, স্বাধীনতার সুফল তাদের দুয়ারে পৌছে দিতে হবে, বাঙালী জাতির সম্মান ফিরিয়ে আনতে হবে, জাতির পিতার হত্যার বিচার করতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বাংলাদেশকে অভিশাপমুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশকে তার মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে।’

রবিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মেচন শেষে সুধী সমাবেশের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরনের পরিকল্পনা শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যমুনা সেতুসহ অনেক সেতুর কাজ আমরা সম্পন্ন করেছি। যেহেতু আজ পদ্মা সেতু এবং রেল সংযোগ নিয়ে কথা শুধু তাই নিয়ে বলছি।’

বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার অত্যন্ত করুন অবস্থা। সেই অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য জাতির পিতার অনেক পরিকল্পনা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সরকার গঠন করার পর যখন জাপানে গিয়েছিলাম তখন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের কী প্রয়োজন। তখন তাকে রূপসা এবং পদ্মা সেতুর কথা বললে দুটির জন্য সহযোগিতার কথা তারা জানান।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বের মত জাপান ভিজিবিলিটি স্টাডি করে দিলে ২০০১ সালে জুলাই মাসে আমাদের কর্ম দিবসের শেষ দিন আমরা পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু পরবর্তী সরকার এসে সে কাজ সম্পন্ন করেনি। দ্বিতীয়বার যখন আমি সরকারে আসি তখন পুনরায় এ প্রকল্প হাতে নেই। আমার ইচ্ছা ছিল নতুন কিছু করার। তাই একটি সেতু শুধু সড়ক সেতু না, তার সাথে রেল সেতু সংযোগ করা হয়।’ এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কড়া সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার অনুরোধে হিলারি ক্লিনটনের নির্দেশে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে হাত ছিল ইউনূসের।’

কোনো অনুমোদন ছাড়াই ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনি বাধ্যবাধকতায় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরে যেতে হয়েছে ড. ইউনূসকে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য থেকে বলা হয়েছে ড. ইউনূসকে রাখার ওপর পদ্মা সেতু নিমার্ণ নির্ভর করছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্ররোচনায় বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেয়। পদ্মা সেতু প্রকল্প বন্ধ করে দিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। অনেকের ধারণা ছিল বিশ্বব্যাংক ছাড়া পদ্মা সেতু হবে না।’

এর আগে সকাল ১১টায় তিনি মাওয়ায় পৌঁছান। পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মেচন, রেল সংযোগ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড