• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিশ্বে রাস্তা নির্মাণের সর্বোচ্চ খরচ বাংলাদেশে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৫৯
নবনির্মিত রাস্তা
বিশ্বে রাস্তা নির্মাণের সর্বোচ্চ খরচ বাংলাদেশে (প্রতীকী ছবি)

২০১৩ সালে একনেকে অনুমোদনের তিন বছর পর ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা-সাগরিকা শহর রক্ষা বাঁধের ওপর ১৫ দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ আউটার রিং রোড নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সেই সময়েই একদফা সংশোধিত হয়ে ২০১১ সালে সিডিএ-এর হাতে নেওয়া ৮৫৬ কোটির প্রকল্পটি দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকায়। আর ২০১৬ সালে কাজ শুরুর পর ২০১৮ সালে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। এরপর আবারও মেয়াদ বাড়ে ২০১৯ এর জুন পর্যন্ত। কিন্তু চলতি বছরও কাজ শেষ না হওয়ায় আরও একদফা বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ।

এমন অবস্থা কক্সবাজার বিমানবন্দরের ২০০৯ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পে। এখনো শেষ হয়নি, কিন্তু ব্যয় ৩০২ কোটি থেকে ৬ দফায় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ১৫ কোটিতে।

চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় একনেক সভা পর্যালোচনায় দেখা যায়, অনুমোদিত ২৭ প্রকল্পের ১২টি সংশোধিত। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে লাগামহীন।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে প্রতি কিলোমিটার রোড কনস্ট্রাকশন ব্যয় এই মুহূর্তে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। এই ব্যয় প্রায় ৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি। যা ভারতে প্রায় ১২ বা ১৩ কোটি। এশিয়া এবং ওয়ার্ল্ড এভারেজ তার চেয়ে কম।

আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুর ৪০তম স্প্যান বসতে পারে কাল

বিষয়টিতে অর্থনীতিবিদ মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘এই ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ে সাড়ে ৮ থেকে শুরু করে প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত মোট বাজেটের অর্থ অপচয় হয় দুর্নীতির মাধ্যমে।’

২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দশ বছরে একেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসন পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যয় ও মেয়াদ যৌক্তিক করতে তিনি বারবার তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু দলীয় প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য আর বাস্তবায়ন অদক্ষতায় অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

অর্থনীতিবিদ মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে যে, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মহলের অনিয়মের মাধ্যমে কার্যাদেশ বিক্রয় করা।’

আরও পড়ুন : বিশাল বহরে ভাসানচরের পথে রোহিঙ্গারা

এ ব্যাপারে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যখন প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট করা হয় তখন ‘প্রজেক্ট ফিজিবিলিটি’ বা ‘প্রজেক্ট প্ল্যান’ এখানে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। প্রজেক্টের মনিটরিংয়ে ঘাটতি রয়েছে।’

অক্টোবর পর্যন্ত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ, যে গতি গেলো চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ১১ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড