• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নেই ভিড়, তবুও টিকিট সংকট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুলাই ২০২০, ১৯:৪৩
অধিকার
ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ (ছবি : সংগৃহীত)

করোনার মহামারির কারণে অন্যবারের তুলনায় যাত্রী কিছুটা কম হলেও ইদে গাবতলী হয়ে ঘরমুখো যাত্রীরা তীব্র যানজট আর টিকিট সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেকেই আবার টিকিট না পেয়ে ছুটছেন পিকআপে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, গাবতলী টার্মিনালে পৌঁছাতে তীব্র যানজটে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আবার বহু সময় অপেক্ষার পর টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

মূলত যারা অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেননি কিন্তু এখন টার্মিনালে এসেছেন বাড়ি যাওয়ার জন্য তারাই বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।

সকাল ৯টায় গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে কোনো টিকেট সংগ্রহ করতে পারেননি বগুড়ার জারিফ আহমেদ।

জারিফ আহমেদ বলেন, সকাল ৯টায় এসে ১২টা পর্যন্ত কোনো বাসের টিকিট পায়নি। সবাই বলছে টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। সবাই বলছে টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন। শেষ পর্যন্ত টিকিট না পেলে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করব।

তিনি আরও জানান, পরিবারের অন্য সদস্যরা মহামারির কারণে মে মাসের দিকে একেবারে বাড়ি চলে গেছে। তিনি ঢাকায় একা থাকেন।

রাজশাহী যাবেন আরেক যাত্রী লিখন তালুকদার। তিনি বলেন, সকাল ১০টায় এসে কোনো বাসের টিকিট পায়নি।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেরিঘাটে জ্যামে আটকা পড়ায় বাসগুলো সময়মতো গাবতলীতে ফিরে আসতে পারছে না। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসের অর্ধেক সিট ফাঁকা রাখার কারণে বাসের সংকটটা আরেকটু বেড়েছে।

তবে কিছু বাস করোনা সংক্রমণ রোধে অর্ধেক সিট ফাঁকা রাখার নিয়মটি যথাযথ ভাবে মানছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার মঈনউদ্দীন বলেন, বাসের ক্যাপাসিটিও কম। সব টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে এখন যারা আসছেন তারা টিকিট পাচ্ছেন না। তাদের অনেকে লোকাল বাসে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তাদের বাস পেতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু যারা এখন টিকিট কেটে বাড়ি যেতে চাইছেন মূলত তারাই বাস পাচ্ছেন না।

এদিকে কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড়, গাবতলী, আমিন বাজার ব্রিজ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।

আব্দুস সামাদ নামে একজন যাত্রী বলেন, আজিমপুর থেকে এসেছি। কল্যাণপুর থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে আসতে তার দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। জ্যামের কারণে অনেক যাত্রী আগে থেকে নেমে হেঁটে আসেন। কিন্তু সঙ্গে ভারী ব্যাগ থাকায় এই সামান্য রাস্তা পার হতে দেড় ঘণ্টার মতো গাড়িতে বসেছিলাম।

যাত্রী কম হওয়া প্রসঙ্গে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের ভয়ে অনেকে বাড়ি না গিয়ে ঢাকায় ইদ করবেন।

মহামারির শুরুতে বাড়ি যাওয়ার পর অনেকে আর ঢাকায় ফেরেননি, অনেকে চাকরি হারিয়ে বেকার বসে আছেন। অনেকে আবার এই সময়ে খরচ বাঁচাতে বাড়ি যাচ্ছেন না। অনেকে এই মহামারির মধ্যে একেবারে বাড়ি চলে গেছেন ফলে ঢাকায় তুলনামূলক কম লোক আছে বলেও মনে করেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড