• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মাদকের ধোঁয়ায় অস্থির আদালতপাড়া

  অধিকার ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৪০
আদালতের হাজতখানার সামনে পোড়ানো হচ্ছে গাঁজা
ছবি : সংগৃহীত

বাদী, বিবাদী, পুলিশ, আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষের ভিড়ের কারণে কর্মদিবসগুলোতে সরগরম থাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতপাড়া। এত লোকজনের ভিড়ে অনেক সময় পা ফেলাই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায়। এ অবস্থার মধ্যেই আবার সিএমএম আদালতের হাজতখানার বাইরে পোড়ানো হয় মাদক অভিযানে জব্দকৃত গাঁজা। গাঁজা পোড়ানোর ধোঁয়ায় অস্বাস্থ্যকর ও অস্বস্তিকর পরিবেশের তৈরি হয় এই এলাকায়। সেজন্য মাদক ধ্বংসে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক নির্মূলে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিদিন গাঁজাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করে। মাদকগুলোর কিছু নমুনা রেখে বাকি মাদক একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার বাইরে ধ্বংস করা হয়। প্রতি সপ্তাহের তিনদিন- রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার দুপুরের পর মাদক পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ কার্যক্রমে সিএমএম আদালতের আশপাশ মাদক পোড়া ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। এ সময় অনেককে নাকে-মুখে হাত দিয়ে ওই এলাকা পার হতে দেখা যায়। গাঁজার ধোঁয়ায় অনেকের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আবার অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিএমএম আদালতে এভাবে মাদক পোড়ানোর কারণ হিসেবে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব ও ইনসিনারেটর (মাদক ধ্বংস করার মেশিন) না থাকার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গাঁজার ধোঁয়ার কারণে বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীসহ লোকজনের চলাফেরায় ভোগান্তির কথাও স্বীকার করেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে আদালতে খিলগাঁও থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ হোসেন বলেন, আদালত চত্বরে যখন গাঁজা পোড়ানোর সময় এই এলাকায় অবস্থান করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। আদালত কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এর বিকল্প ব্যবস্থা নেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে গাঁজা পোড়ানো হয়। তখন ধোঁয়ায় পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। সে কারণে ওই এলাকায় চলাফেরা করা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, এর যেন একটা বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়।

আদালতের হাজতখানার সামনে পোড়ানো হচ্ছে গাঁজা

আদালতে মামলার হাজিরা দিতে আসা বিচারপ্রার্থী কবির হোসেন বলেন, একটি মামলার হাজিরা দিতে আদালতে এসে দেখি সিএমএম আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমি গাঁজা পোড়ানোর ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এমন পরিবেশে আদালত চত্বর এলাকা ও আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা যন্ত্রণাদায়ক।

মাদকের ধোঁয়া থেকে পরিত্রাণের উপায় কী- এ বিষয়ে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) কায়সারুল ইসলাম বলেন, আদালত চত্বরে মাদক ধ্বংস করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এছাড়া আমরা সরকারের কাছে মাদক ধ্বংস করার মেশিনের (ইনসিনারেটর) জন্য আবেদন করেছি, তা প্রক্রিয়াধীন। ইনসিনারেটরের মাধ্যমে গাঁজা পোড়ালে এর ধোঁয়া অনেক উপরে উঠে যায়। তখন মানুষের আর কষ্ট হবে না।

আরও পড়ুন : গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় ফের পেছাল চার্জ গঠন শুনানি

আদালত চত্বর এলাকায় মাদক ধ্বংস করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কথা জানিয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রুচি বলেন, এর বিকল্প ইনসিনারেটর মেশিন বসালে মানুষ এ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে। আমরা ঢাকা বারের পক্ষ থেকে এ বিষয় প্রশাসনের শুভদৃষ্টি কামনা করছি।

ওডি/এএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড